নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
গতকাল ২৬ মে নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রাতে ক্ষতিগ্রস্থ বজলুর সরদারের বাবা ইসমাইল হোসেন সরদার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম সহ অজ্ঞাত ৮০জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতরাতে ঘটনাস্থলের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা মতিন ওরফে কালো মতিন,সঞ্জয় কুমার ও অসিত কুমার। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, ত্রাণ বিতরণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মি বজলুর সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান মতিন গ্রুপ ও বজলুর সরদারের গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের সমর্থকরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে মতিন গ্রুপের সমর্থকরা বজলুর বাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় বজলুর সরদারের বাবা ইসমাইল হোসেন সরদার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম সহ অজ্ঞাত ৮০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইসমাইল হোসেন সরদার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন,আমি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে প্রধান আসামী হিসেবে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ মতিন ছেয়ারম্যানকে ছেড়ে দিয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, চেয়ারম্যান মতিনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
সাপন্থীরে নিষিদ্ধের দাবিতে লালপুরে মানব বন্ধন ও প্রতিবা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,টঙ্গী ইজতেমা ময়ানে বিনা কারণে নিরস্ত্র ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীরে উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, হামলা …