নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরের সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ বাবলু শাকিদার (৭২)হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেন (৩৫) চট্টগ্রামের রাগুনিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাগুনিয়া থানার পুলিশ উপজেলার পোমরা শান্তিরহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।
চট্রগ্রাম পুলিশের রাউজান- রাগুনিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম সাংবাদিকদের জানান, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার অনুরোধসহ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বৃদ্ধ বাবলু শাকিদারকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি আনোয়ারকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে রাগুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি ও এসআই রবিউল ইসলাম সহ রাগুনিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল সোমবার সকালে উপজেলার পোমরা শান্তিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ধৃত আসামিকে নাটোরের গুরুদাসপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃদ্ধ বাবুল শাকিদারকে হত্যার পরপরই আসামি আনোয়ার গা ঢাকা দিতে নাটোর থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের রাগুনিয়ায় চলে আসে। এখানে আসার পর জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি নির্মাণ শ্রমিক দলের সাথে যোগ দেয়। নিজেকে নিরাপদ রাখতে আনোয়ার নিজের নাম ও ঠিকানাও বদলে ফেলে। অন্য শ্রমিকদের কাছে সে নিজের নাম তামিম এবং বাড়ি বগুড়ায় বলে তাদের বলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে সিম কার্ড সহ মোবাইল ফোন ভেঙ্গে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারের পর আসামি আনোয়ার পুলিশের কাছে সে জানায়, সে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত কেফাতুল্লাহর ছেলে এবং তার প্রকৃত নাম আনোয়ার। সে পুলিশের কাছে তার সঠিক পরিচয় দিলেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে বিভ্রান্তকর তথ্য দিতে থাকে। পরে বাবলু শাকিদারকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা চট্রগ্রামের রাগুনিয়া থেকে বাবলু শাকিদার হত্যার আসামি আনোয়ারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাটোর পুলিশের দেয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে চট্রগ্রামের রাগুনিয়া থানা পুলিশ ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ গুরুদাসপুর উপজেলার নওপাড়া এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবলু শাকিদার (৭২) নামে এক বৃদ্ধকে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে লোকমান শাকিদার বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি আনোয়ার ও তার ভাই আয়নালের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৫৭ দিন পর প্রধান আসামি আনোয়ারকে চট্টগ্রামের রাগুনিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
