বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নাটোরসহ সারাদেশের মানুষ যখন হোম কোয়রেন্টাইনে ঘরবন্দি, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের যখন নাভিঃশ্বাস উঠে যাচ্ছে ঠিক তখন এক শ্রেণীর অসাধু ইটভাটার মালিক ৩ ফসলী আবাদী জমি কেটে পুকুর বানানোর কাছে ব্যস্ত। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের ঝিনাইগাড়ি গ্রামে চলছে এই অবৈধ পুকুর খননের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার রবি, বুদ্দু গামা, মোতালেব মন্ডলসহ আরও কয়েকজন মিলে তাদের ১৪ বিঘা আবাদী জমিতে এই পুকুর খনন করছে। দিনের পর দিন রাতের পর রাত শত শত ট্রলি এই পুকুর খনন করে চলেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, গত এক মাসে ঝিনাইগাড়ি সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বহু ৩ ফসলী আবাদী জমি এখন বড় বড় পুকুরে পরিণত হয়েছে। সারা রাতভর শত শত ট্রাক্টর এলাকার রাস্তা দাপিয়ে মাটি বহন করে চলেছে। কয়েকদিন আগে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর এক রাত মাটি কাটা ও বহন বন্ধ ছিল, আবার দিনে ও রাতে চলছে বলে নারদ বার্তাকে জানান এলাকাবাসী।
এলাকার কয়েকজন মহিলা ও পুরুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ট্রাক্টর চলাচলের ফলে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বেপরোয়া গতিতে চলাচল করা এসব ট্রাক্টর দেখলে মৃত্যুজম বলে মনে হয় এমন কথা বলছিলেন রশিদুল ইসলাম নামের এক বৃদ্ধ। বয়স্ক এই মানুষ বলেন, গাড়ির শব্দে গ্রামের মানুষ বিশেষ করে বয়স্ক, অসুস্থ আর শিশুরা রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারেনা।
এছাড়াও মাত্র দেড় মাস আগে তৈরি হওয়া গ্রামের একমাত্র ভালো রাস্তার অবস্থা এরই মধ্যে বেহাল দশা। আর কিছুদিন এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষার আগেই রাস্তাটি আবারও ভেঙ্গে গিয়ে জনগনের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা ঝিনাইগ্রাড়ী গ্রামের অসহায় মানুষদের। এলাকাবাসী খুব দ্রুত দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এই অবৈধ পুকুর খননসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন নারদ বার্তার এই বিশেষ প্রতিবেদকের কাছে।