নিউজ ডেস্ক:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্রকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট বলা যেতে পারে। এটি স্থাপন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রথম ইউনিটে বিভিন্ন ধাপে প্রেসারাইজার, কুল্যান্ট পাম্প ও হাইড্রো অ্যাক্যুমুলেটর বসানো হয়েছে। রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনের পরপরই নভেম্বরে স্থাপন করা হবে স্টিম জেনারেটর।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বসতে যাচ্ছে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে চুল্লিপাত্রের স্থাপনকাজ উদ্বোধন করবেন।
এ সময় উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ এবং প্রকল্পের বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে চুল্লিপাত্র স্থাপন। রোববার এটি বসানো হবে। এরপর নভেম্বরে স্টিম জেনারেটর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাঠামোয় পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন শেষ হবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিভিন্ন প্রস্তুতি পর্ব শেষে প্রথমত ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর সেসব অবকাঠামোর মধ্যে পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘ভৌত কাঠামো নির্মাণের পর খুব দ্রুত গতিতে চলে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ। ভৌত কাঠামো নির্মাণ গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাশিয়ায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিটেরও অধিকাংশ যন্ত্র এসে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরেই প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কাজের গতি কিছুটা কমলেও লোকবল বাড়িয়ে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান তিনি।
পাবনার রূপপুরে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের এই প্রকল্পের প্রায় ৯০ ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রাশিয়ান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ও ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্রকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট বলা যেতে পারে। এটি স্থাপন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রথম ইউনিটে বিভিন্ন ধাপে বসানো হয়েছে নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি।
‘পাঁচ ধরনের যন্ত্রের মধ্যে এরই মধ্যে প্রেসারাইজার, কুল্যান্ট পাম্প ও হাইড্রো অ্যাক্যুমুলেটর বসানো হয়েছে। রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনের পরপরই নভেম্বরে স্থাপন করা হবে স্টিম জেনারেটর। এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে।’