নিউজ ডেস্ক : পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, মাথার জন্য সারা দেশে ছেলেধরা নেমেছে, মসজিদে আগুন দেয়াসহ বিভিন্ন গুজব প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। তারা বলছে, গুজবে কান দিয়ে নিরীহ-নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। এমনকি তা সমাজের জন্য বিশৃঙ্খলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই গুজব প্রতিহতে সরকার যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
গুজবের ভয়াবহতা বিবেচনায় সরকার সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। সে মোতাবেক তারা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। সর্বস্তরের জনসাধারণকে গুজব এড়িয়ে চলতে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া নজরদারির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম কাজ করছে। সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে কাজ করছে এই বিশেষ টিমটি। তারা ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করে তথ্য সংগ্রহ করছে।
গুজবকে প্রতিহত করতে সারা দেশে ৬১ হাজার আনসার সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিমও যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গুজব ও গণপিটুনির ঘটনায় সারা দেশে ৩১টি মামলায় এ পর্যন্ত ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মাথা কাটার গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ৬০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ২৫টি ইউটিউব লিংক এবং ১০টি ওয়েব পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে।
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও অগ্রগতি নিয়ে জনসাধারণের সন্তুষ্টি বিষয়ে জানতে কথা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে। তারা জানান, গুজব রোধে চলমান পদক্ষেপগুলোকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সকল স্তরের মানুষ। তারা নিজেরাও গুজব রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। তারা বলছে, গুজব ছড়িয়ে যে মহল সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে তারা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু। আমরা দেশের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছি।