নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম
শ্রেণি কক্ষে নাজমুস সাদিক ওরফে রাফিকে গান গাইতে বললো শিক্ষক দ্বীপেন্দ্রনাথ সরকার। কিন্তু রাফি জানায়, সহপাঠি জান্নাতি গান গাইলে সেও গাইবে। জান্নাতি দুই লাইন গান গাইলো। কিন্তু রাফি তার কথা না রেখে গান না গাওয়ার বিপরীতে ৩’শ বার কানধরে উঠবস করার কথা ঘোষণা করলো। হাসি ও দুষ্টুমির ছলে রাফি ৩০ বার কান ধরে উঠবস করে হাঁফিয়ে যায়। কিন্তু সহপাঠিরা নাছোর বান্দা হয়ে তাকে ৩’শ বারই উঠবস করতে হবে বলে জানায়। পরবর্তীতে বিরতি দিয়ে দিয়ে রাফি ৩’শ বার কান ধরে উঠবস করে। কিন্তু এতে দোষি সাব্যস্ত করা হলো শ্রেণি শিক্ষক দ্বীপেন্দ্রনাথ সরকারকে। নাটোরের বড়াইগ্রামের রামাগাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাফির মা ও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন এ ঘটনার জন্য শিক্ষক দ্বীপেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। রাফি ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ও প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন এবং বনপাড়া হারোয়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে শিক্ষক দ্বীপেন্দ্রনাথ সরকার উপজেলার বনপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানায়, বুধবার ৫ম শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সময় ক্লাসের অংশ হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে গান গাইতে বলেন। এ সময় রাফি জানায়, সহপাঠি জান্নাতি গাইলে সে গাইবে। পরবর্তীতে জান্নাতি গাইলে সে আর গান না গেয়ে স্বঘোষিতভাবে কান ধরে উঠবস করে। কিন্তু রাফি প্রথম ১০/১২ বার উঠবস করলেও পরবর্তীতে কান ধরে দাঁড়িয়ে হাল্কা পা ভাঁজ করে ৩’শ পূর্ণ করে। ক্লাশে এক ধরণের বিনোদনের মতোই সহপাঠিদের সাথে রাফি এটা করে। শিক্ষক দ্বীপেন্দ্রনাথ আরও বলেন, আমি ভাবতেও পারি নাই প্রধান শিক্ষক এ ঘটনাটিতে আমাকে দোষি সাব্যস্ত করবেন।
প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন জানায়, তার ছেলেকে নিয়ে এ ধরণের তামাশা করা ওই শিক্ষকের উচিত হয়নি। তিনি ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও দেখুন
নাটোরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার কাউন্সিল
নিজস্ব প্রতিবেদক………………..নাটোরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১২ …