নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকার ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে, দেশের কথা বলে, সরকারের উন্নয়নের কথা বলে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের ভুল-ত্রুটির সমালোচনা করে সঠিক পথও বাতলে দেয়।
সেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও বিকাশের লক্ষ্যে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। গণমাধ্যমের বিকাশের মাধ্যমে সরকার গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই সরকার গণমাধ্যমের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গণমাধ্যম জাতির বিবেক তৈরি করে। আবার বিবেককে পাহারাও দেয়। উন্নয়ন যাত্রায় প্রধান অনুঘটক গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
তথ্যসূত্র বলছে, দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থ, তথাপি মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্তমান সরকারের বদান্যতায় দেশে সবমিলিয়ে ৪৪টির মতো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে। কয়েক হাজারের অধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলের পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মতো কোনো সরকারই গণমাধ্যমের বিকাশে কাজ করেনি। পূর্ববর্তী সরকারগুলো তাদের পরিচিত মানুষদের গণমাধ্যমের লাইসেন্স দিয়ে নিজেদের কথা প্রচার করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই পথে চলছে না। আমরা গণমাধ্যমগুলোকে জনগণের কথা বলতে অনুরোধ করেছি। উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করছে। নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হলো। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কারণেই প্রতিদিন টেলিভিশন টকশোতে বিরোধী দলের নেতারা আমাদের তুলোধুনো করছেন। সরকারের সমালোচনা করছেন। স্বাধীনতা আছে বলেই গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এই অর্জন বর্তমান সরকারের।