নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের মানুষের ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে সেটা কিন্তু আমাদের (আওয়ামী লীগ) আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। তাদের (বিএনপির) মুখে এখন খুব গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-২০০৮ এর নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের যাত্রা শুরু করে। একটানা ২০২২ পর্যন্ত এখনো দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। এই সময়ে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকে বাংলাদেশের উন্নতিটা হয়েছে। নইলে এত উন্নতি হতো না।’ শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি শাসনামলের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করেছে, তারপর থেকে এ দেশে হত্যা, গুম, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আর নির্বাচন? এটা জানার জন্য বেশি দূর যাওয়া লাগবে না। ২০০১ এর নির্বাচন অথবা মাগুরার উপনির্বাচন অথবা মিরপুর বা ঢাকা-১০ এর উপনির্বাচনগুলোর কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হতো, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট যদি দেখেন। কথাই ছিল-১০টা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। ভোটের বাক্সে সিল মারা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হতো। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার লিস্ট করেছিল ২০০৬ এ ইলেকশন করার জন্য বিএনপি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল, তারাই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বলে তখন কিছু ছিল না। ওই ক্যান্টনমেন্টে বসে সামরিকজান্তার পকেট থেকে দল তৈরি করে সেই দলকে জিতিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে পার্লামেন্টে যেন বৈধ করা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে কারচুপি, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরির প্রক্রিয়াটা শুরু।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ উন্নতির ধারায় ফিরে আসে। মূলত মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস করাসহ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে।’ করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণ করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। আমাদের সময়ে সব দলই কিন্তু তাদের দল করার একটা সুযোগ পাচ্ছে, সেই ব্যবস্থটা আমরা দিয়েছি।’
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল হিসাবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালি চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তারা ভালো থাকে না। একটু অগণতান্ত্রিক সরকার হলে তাদের মূল্যটা বাড়ে, তাদের ভালো লাগে। বাংলাদেশে সেই খেলাই খেলতে চায় তারা। বারবার তো সেই খেলা চলেছে দীর্ঘদিন। বিএনপির সময়ে দেশে কী নির্বাচন হয়েছে তা দেশের মানুষ অবহিত। এখন দেশের সব রাজনৈতিক দল রাজনীতি করারও সুযোগ পাচ্ছে।’
দেশের শতভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে যেহেতু তেল কিনতে ও গ্যাস আনতে অসুবিধা হচ্ছে, তাই একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর শুধু আমাদের দেশ নয়, ইংল্যান্ড-আমেরিকা-জার্মানি সব জায়গায় তারাই তো জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে নজর দিচ্ছে। তারা তো নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে কিছু দিনের জন্য আমাদের কষ্ট পেতে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না।’ তারপরও বলব-তেল, পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ সারা বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তার প্রভাব থেকে আমরা কিন্তু মুক্ত নই।’
দুর্ভিক্ষের আঁচ লাগবে না : প্রত্যেকের যার যতুটুক জমি আছে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, তাতে উৎপাদন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, খুবই ভয়ানক অবস্থা। সেখানে বাংলাদেশে এখনো সেরকম খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তিনি মনে করেন, নিজেদের উৎপাদন নিজেরা বাড়াতে পারলে আমাদের কোনো দিন ওই দুর্ভিক্ষের আঁচ লাগবে না। এটা হলো বাস্তবতা। রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ করে কেউ কেউ পারদর্শী হয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা হলো করোনার সময় অনেকে বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে। যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। যেখানে বিএনপির আমলে, ’৯১ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা দিয়ে তিন মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত হলেও এখন তারাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। অথচ এখনো পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ সরকারের হাতে আছে।
মানুষের কল্যাণেই রিজার্ভের টাকা ব্যয় : শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইচ্ছামত বলতে পারছেন, বক্তব্য দিতে পারছেন। একটা সরকারি টেলিভিশন ছিল, একটা সরকারি রেডিও ছিল। আমরা এখন প্রচুর টেলিভিশন আর রেডিও করে দিয়েছি। প্রত্যেকটায় হট টক আর অমুক সমুক কথা, সবই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমি জায়গা করে দিয়েছি বলেই তো কথা বলতে পারছেন। নইলে তো আর কথা বলতে পারতেন না। সারাদিন বলে, এরপর বলে বাকস্বাধীনতা নেই। তাহলে এতগুলো টেলিভিশনে এই যে টক টক কথাগুলো আসে, সেগুলো এলো কোথা থেকে? আর বক্তৃতা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা কথা বলে, এই কথাগুলো বলার সুযোগ পেত কোথা থেকে, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে?’
সারা দেশে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষদের জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। জাতির পিতা এ দেশটা স্বাধীন করে গেছেন। আমরা আমাদের কর্মসূচি ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটা অলরেডি বাস্তবায়ন করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। আর ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান দিলাম, এই বদ্বীপে যারা বসবাস করবে তাদের ভবিষ্যৎ বংশধররা যেন উন্নত জীবন পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
নির্বাচনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের পরামর্শ : এদিকে সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পুরোনো ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। তারা নতুন দলে আসা ব্যক্তিদের সামনের সারির নেতা না বানানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হওয়ায় অনেক দেশ সেটাকে ভালো চোখে দেখছে না। যে কারণে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী যুক্তি তুলে ধরে প্রচারণা চালানোরও পরামার্শ দেন দলটির থিংক ট্যাংক হিসাবে পরিচিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে সভা বিরতিহীনভাবে চলে প্রায় ৩টা পর্যন্ত। মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মসিউর রহমান, সতীশ চন্দ্র রায়, ড. অনুপম সেন, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী, ড. মির্জা এমএ জলিল, মো. রশিদুল আলম, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, আব্দুল খালেক, ড. শামসুল আলম, আতাউর রহমান, একেএম রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
বৈঠকে সূত্র জানায়, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, দেশ ও আওয়ামী লীগের শুধু দেশিই নয়, বিদেশি ষড়যন্ত্রও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে অনেক চক্রান্ত চলছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে মানবাধিকার নেই-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, জিয়াউর রহমান বিচারের নামে প্রহসন করে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করেছিলেন। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? তিনি বলেন, এগুলো জনগণের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আব্দুল খালেক বলেন, তৃণমূলের মতামত নিয়ে আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা দরকার। সে ক্ষেত্রে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। ভালো প্রার্থী মনোনয়ন দিলে দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। আর দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত জয় পাবে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় দলে এসেই মনোনয়ন পায়, সামনের সারির নেতা হয়ে যায়। এতে পুরোনোরা হতাশ হয়। দলে এসে প্রথমে পেছনের সারিতে কাজ করবে। ধীরে ধীরে সামনে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে আব্দুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন, তাকেই খুন করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। প্রধানমন্ত্রী দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। নানা অপপ্রচার হচ্ছে।
সভায় দলের আরেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, বিএনপি এখন আন্দোলন করছে। তারা নানা ধরনের দাবি করছেন। এ দাবি তারা করতেই পারেন। তবে সংবিধান মেনে তাদের চলতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া ঠিক হবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্দোলন করা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে এ অধিকারের নামে যদি ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে, মানুষ হত্যা করে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস কোনোভাবে মেনে নেওয়া ঠিক হবে না। আইন সবার জন্য সমান।
মোহাম্মদ জমির বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিদেশিদের সব কথার জবাব শুধু প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। সব কথার জবাব শুধু প্রধানমন্ত্রীকে কেন দিতে হয়? বিদেশিরা যখন যে বিষয়ে প্রশ্ন তোলে তখন সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে হবে। আরেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মসিউর রহমান বলেন, এখন গুজব রটানো হচ্ছে, ব্যাংকে রিজার্ভ নেই। বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। এ গুজবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সঠিক তথ্য তুলে ধরে জবাব দিতে হবে। জনগণকে সত্যটা জানাতে হবে। সভায় ড. মির্জা এম এ জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার একভাগ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। দ্বিতীয় ভাগের অর্ধেকের বেশি পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বাকি কাজগুলোও শেষ করতে হবে। যা করলে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে।