নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বাংলাদেশ ১৭ বছর যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, যে মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছি, তার জন্য লড়াই শেষ এবার গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা শরিক হব, গণতন্ত্রের জন্য মানবাধিকারের জন্য আবারও রাজপথে লড়াই করতে হচ্ছে। বলেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছি তার মহানায়ক ছিলেন তারেক রহমান। সেই লড়াইয়ের পর আশা করেছিলাম আর রাস্তার ওপর এভাবে সমাবেশ করতে হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে এই সরকার অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। কিন্তু আজকে কি দেখতে পাচ্ছি, আজ দেখতে পাচ্ছি বাজারে জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য এই সরকার সামাল দিতে পারছে না নির্বাচনের কথা যতই বলছি যে সরকারের ভিতরে এবং সরকারের বাইরে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বলছে এখন নির্বাচন নয় সংস্কার সংস্কার তো বিএনপি দেখিয়ে দিয়েছে। পতিত শেখ হাসিনার সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মানেটা কি জানেন? আগে লুটপাট তারপর গণতন্ত্র। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। এই সংস্কার কিসের সংস্কার? যদি সংসদ না থাকে এই সংস্কারের বৈধতা কে দেবে আমরা স্পষ্ট বলে দিয়েছি, একটি অবাধ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যে যেটুকু প্রয়োজন ওইটুকু সংস্কার করবেন। নির্বাচনের পর তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করব। তিনি প্রধান উপদেষ্টা কে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনি নোবেল বিজয়ী কিন্তু আপনাকে যেন ফখরুলের মত বিদায় নিতে না হয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবিতে, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উন্নতির জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সারা দেশের ন্যায় নাটোর জেলা বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন মহাসমাবেশের প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিতে মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এছাড়াও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এই মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার
নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর পাশে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল তিনটা থেকে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর দুইটা থেকেই সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।