কথায় আছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ এতিমের টাকা আত্মসাৎ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু অতীতের দুর্নীতি অভিশাপের মতো পিছু ছাড়ছে না খালেদার। এবারে সৌদি আরবে খালেদার দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজকীয় ফরমান জারি করেছে সৌদি আরবের দুর্নীতি বিরোধী কমিটি।
জানা যায়, সম্প্রতি সৌদি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা দুর্নীতিবিরোধী মামলায় আটক কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা অর্থ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে। দুর্নীতি বিরোধী কমিটি ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থাগুলিকে ১৯ জন সৌদি নাগরিক এবং ৫ জন বিদেশী নাগরিকের অ্যাকাউন্টে তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে। এতে বিদেশি ৫ ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আরো রয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি ও পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফ।
উক্ত কমিটি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, মানি লন্ডারিং এর অভিযোগ এনেছে। জানা যায়, জিয়া পরিবারের ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ মূল্যের অবৈধ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবসহ আরো ১২ টি দেশে। বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরবের আল-আরাফার শপিং মলের প্রকৃত মালিক। তিনি কাতারে দীপ্রা নামে একটি বাণিজ্যিক বহুতল ভবনেরও মালিক। খালেদার প্রয়াত কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন কাতারের এক বহুতল অফিস ভবনের মালিক।
দুর্নীতি দমন কমিটির এক কর্মকর্তা গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ককে জানায়’ ‘যে তথ্য আমাদের সামনে এসেছে, অবশ্যই তা তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত চলাকালীন তথ্য যাচাই করার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উক্ত কর্মকর্তা আরও বিস্তারিত কোন বিবরণ দিতে অস্বীকার করেন। তবে বলেন, ‘নিশ্চিত হয়ে নিন যে তদন্ত চলাকালীন তাদের কাছে (দুর্নীতি বিরোধী কমিটি) সঠিক তথ্য রয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে খালেদার এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসে। সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, তিনবার দুর্নীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানানো খালেদা জিয়ার এই দুর্নীতি আবারো আন্তর্জাতিক মন্ডলে বাংলাদেশকে ছোট করলো!