নিউজ ডেস্ক:
বরিশালে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুতের বিশালাকৃতির সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই সাইলোতে তিন বছর চাল গুদামজাত থাকলেও গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকবে। এটি খাদ্যসংকট মোকাবিলায় ও দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাল সংরক্ষণে বরিশালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির খাদ্য সংরক্ষণাগার সাইলোর নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। ১৬টি বিন স্থাপন শেষে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।
২০২১ সালের জুনে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় ৫২০ শতাংশ জমিতে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাইলো নির্মাণ শুরু হয়। কীর্তনখোলার পাড়ে জেটি স্থাপনের পাশাপাশি পুরো প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের আগস্টে শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। কাঠামোগত কাজও শেষ হচ্ছে। সাইলোকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য যে অ্যান্সিলারি বিল্ডিংগুলো রয়েছে, সেগুলোর কাজও মোটামুটি শেষ।
৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল এই সাইলোতে মজুত রাখা যাবে। এটিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকায় চাল অন্তত তিন বছর মজুত থাকলেও গুণগত মান বজায় থাকবে। নদী ও সড়কপথে আসা চাল জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্ট-এর মাধ্যমে অটোমেশনে সংরক্ষণাগারে মজুত করা হবে।
অত্যাধুনিক ব্যাগে প্যাকেট করে খাদ্য প্রস্তুতসহ খাদ্যসংকট মোকাবিলায় এই সাইলো ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার তনুশ্রী রঞ্জন দাস বলেন, এ অঞ্চলের জন্য এই সাইলো একটি আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ, এর জন্য এখানে মজুত বাড়বে।
এই সাইলোর মাধ্যমে বরিশাল অঞ্চলে খাদ্য সংরক্ষণের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে মন্তব্য করে বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আশা করা যায়, এটি হলে আমাদের বরিশাল অঞ্চলে অন্তত খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।’
উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় বর্তমানে ৪৬টি এলএসডি গোডাউনের মাধ্যমে এক লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে।