শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / খাদিজাতুল কোবরা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে

খাদিজাতুল কোবরা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
প্রধানমন্ত্রী অনুদানে বেঁচে থাকা ও পিতা হারা খাদিজাতুল কোবরা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এইবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে জিপিএ- ৫ পেয়ে পাশ করেছে। খাদিজাতুল কোবরা নাটোরের বড়াইগ্রাম সেন্ট জোসেফ”স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। তার ভাই জুবায়ের গত বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভাই ও বোনের সাফল্যে তার পরিবার সহ এলাকার মানুষ সবাই খুশি। কিন্তু খাদিজাতুল কোবরা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়া শোনার  খরচ নিয়ে পরিবারটি  দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

তার স্কুলের শিক্ষক রুবেল হোসেন বলেন, মেয়েটি  তার ভাইয়ের মতই মেধাবী। খাদিজাতুলদের বাড়ী নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান গ্রামে। তার পিতা খাইরুল ইসলাম নিরাপত্তার চাকুরী করে সংসার চালাতেন, মেধাবী দুই সন্তান নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো তার। জামায়াত ইসলামীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায়ের দিন জামায়াত ইসলামী ও শিবির কর্মীরা খাইরুলের বাড়ীতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাকে। ঐ শিক্ষক আরো বলেন, এবিষয়ে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়। সেই খবরের কাটিং সহ খাইরুলের স্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি আবেদন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাইরুল ইসলামের স্ত্রীর হাতে ১০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তুলে দেন। এই অনুদানের টাকায় তাদের সংসার চলে। খাইরুলের ছেলে জুবায়ের হোসেন গত বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।

সে সময় তার পড়াশোনার খরচ নিয়ে সংকটে পড়ে পরিবারটি। এই বিষয় নিয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের মান রেখেছে জুবায়ের’ শিরনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ঢাকার এক সহৃদয়বান ব্যক্তি তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। জুবায়ের হোসেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঐ শিক্ষক আরো বলেন, ২০১৩ ইং সালে দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা নাটোরের একটি কলেজের উপাধ্যক্ষ বাবুল আকতার খাইরুল ইসলামের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিয়ে গিয়েছিল।

এবিষয়ে উপাধ্যক্ষ বাবুল আকতার বলেন, তৎকালীন বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ও বর্তমান পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সেই সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাক্ষাতের সুযোগ করে দিয়েছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাইরুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জড়িয়ে  ধরেছিলেন। আর বলেছিলেন ১০ লাখ টাকা দিলে তার অনেক অংশীদার বের হবে। এজন্য পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেওয়া হইলো।

খাইরুল ইসলামের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, এই সঞ্চয়পত্র  থেকে প্রতিমাসে যে মুনাফা পাওয়া যায়, তা দিয়ে সংসারের খরচ ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়া চালাতে হয়। এখন মুনাফার পরিমাণ কমে গেছে। মাসে ৭ হাজার টাকার কিছু বেশি পাই। 

উল্লেখ্য ২০১৩ ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী যুদ্ধাপরাধের দায়ে  জামায়াতের দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় হয়। ঐ দিন দুপুরে নামাজ পড়ে উঠে খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রীর কাছে ভাত খেতে চায়। একসময় হইচই শুনে  খাইরুল ইসলাম বাড়ীর বাইরে আসেন, তখন তার চাচার বাড়ীতে জামায়াত ও শিবির কর্মীরা হামলা করে  ও বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় । খাইরুল ইসলামকে সামনে পেয়ে জামায়াত ও শিবির কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …