শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ক্ষমতায় থেকেও বেড়েছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা

ক্ষমতায় থেকেও বেড়েছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরেও দিন দিন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও ৪ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে অনেকের জনপ্রিয়তা কমে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সেটা ধরে রাখতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বসভায় দেশের মানুষ স্থায়ীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে এই বাংলার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চেষ্টায় ও  বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃতে ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তা ফিরে পায় এই বাংলার মানুষ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামের যে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশের মুক্তির সংগ্রাম থেকে আজ অবধি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জন্মগ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি টানা ৩ বার সহ মোট ৪র্থবারের মত রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে এই দলটি। 

অতীত ইতিহাসে দেখা গেছে বাংলায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত। বিগত বছরগুলোতে দলটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে আছে। ইতোমধ্যে দলের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন পদক ও খেতাবে ভূষিত হচ্ছেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯ এ তার পদকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে “৩৭”এ । 

তার উল্লেখযোগ্য পদকের মধ্যে আছে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এমডিজি) অর্জনে বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে অবদানের জন্য জাতিসংঘের এওয়ার্ড লাভ । ২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আইসিটি’র ব্যবহারে প্রচারণার জন্য শেখ হাসিনাকে ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। দেশের উন্নয়নে তার অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম তাকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার শিশুমৃত্যুর হার ৫০% কমিয়ে আনায় জাতিসংঘ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে।

গত এক যুগে দেশের অবকাঠামোগত নির্মাণে আনা হয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু, ঢাকা শহরের যানজট কমানোর জন্য ডজনখানেক ফ্লাইওভার নির্মাণ, সাম্প্রতিক চলমান ঢাকায় মেট্ররেলের কাজ, ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা ময়মনসিংহ রাস্তা চার লেনে উন্নিতকরণ, হাতিরঝিল এলাকাকে আধুনিকায়ন সহ শত শত প্রকল্প।  

এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থায় টেলিযোগাযোগ উন্নতিকরনের মাধ্যমে দেশে চালু করা হয়েছে ফোর জি বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা। প্রযুক্তির আধুনিকায়নে জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ পাশাপাশি পরিকল্পনায় আছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ এবং আগামী ২০২২ সালে মহাকাশে পাঠানো হবে প্রথম বাংলাদেশী নভোচারী। মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি সেবাসমূহ পৌঁছে দিতে চালু আছে ডজনখানেক ইমার্জেন্সি হটলাইন সেবা। 

মানুষের আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে ফলে বাংলাদেশ উঠে এসেছে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন। 

এত সকল মহাযজ্ঞের ফলে আওয়ামী লীগ নামের দলটির প্রতি মানুষের আস্থা, ভরসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে শিক্ষিত ৮০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে। অপরদিকে গ্রামে বসবাসরত ৭৫ ভাগ মানুষের অন্তরে আছে আওয়ামী লীগের প্রতি অধীর ভালোবাসা ।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …