নিউজ ডেস্ক:
করোনার প্রতিষেধক টিকার আরও বড় একটি চালান পেল বাংলাদেশ। ন্যায্যতার ভিত্তিতে সারাবিশ্বে টিকা বিতরণে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্স সুবিধার ৮০ লাখ টিকা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই টিকা হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে জাপান দিয়েছে ৪০ লাখ ৮০০টি আর যুক্তরাজ্য দিয়েছে ৪০ লাখ ৫৫ হাজারটি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ভীষণ আস্থাভাজন বন্ধু রাষ্ট্র। অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকারও দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশেই থাকে। দেশ দুটি থেকে পাওয়া এই টিকাগুলো করোনা মোকাবিলায় নিঃসন্দেহে আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করবে।’
বাংলাদেশ করোনার টিকা শুরুই করে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দিয়ে। সে টিকা কেনা হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে। সেখান থেকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি হলেও ৭০ লাখ পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেরাম আর টিকা দিতে পারেনি।
পরে টিকার জন্য চীনের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও টিকা পেতে শুরু করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন হাতে আমাদের সাড়ে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এই মাসেই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও শুরু করা হবে।’
টিকা প্রদানে বাংলাদেশ বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনায় এই মুহূর্তে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার উভয়ই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রমে দেশে এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আশার কথা, তিনজনকেই আমরা কোয়ারেন্টাইন করতে সক্ষম হয়েছি। তারা চিকিৎসা নিচ্ছে ও এখন ভালো আছে। তবে দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং টিকা নিতে আগ্রহী হতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যেতে পারব।’
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট উইনিংটন গিবসন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শীমা সেন, সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।