সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বুধবার বিকাল ৬টায়
কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বের হয়। বিক্ষোভ
মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সাহেব বাজার
জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ
সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয়
মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী
কামাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সমাবেশে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছেন। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন।
দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান, আর্থিক দিক দিয়ে মানুষের
অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। কিছু ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে
পারে, তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ ওইসব সমস্যা সমাধানে
কখনো ভাবেওনি, করেওনি, পারেওনি, পারবেও না। আওয়ামী লীগই দেশের
উন্নয়ন ও মানুষের কল্যান করেছে।
তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে
সীমাবদ্ধ নেই। এই আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়েছে বিএনপি-
জামায়াত-ছাত্রশিবির-ছাত্রদল। শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করে যারা দেশের
আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করে সরকার পতন করতে চায়, তারা কি অতীতের কথা
ভুলে গেছে? তারা এই রকম কতশত তথাকথিত আন্দোলন করেছে,
মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, ট্রেন লাইন উপড়ে
ফেলেছে, সরকারের তো পতন হয়নি। জামায়াত-বিএনপি চক্রের
আন্দোলন সফল হবে না, তারা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
এটি তারা নিজেরাও বোঝে, সেই কারণে ছোট ছোট ঘটনায়,
আন্দোলনে ইন্ধন জোগায়। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া প্রথম দিনই
কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল। সে লন্ডনে বসে থেকে
বড়বড় কথা বলে, আমরা বহুবার তাকে বলেছি, দেশে এসে আন্দোলনে
নেতৃত্ব দেন, যদি মানুষ মেনে নেয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার
নেই। আপনি লন্ডনে বসে থেকে ওহি নাজিল করবেন, বাংলাদেশের
যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ, সাধারণ মানুষ নেচে উঠবে, এতো বোকা
তাদেরকে ভাবার দরকার নেই।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ, শান্তিতে
বসবাস করেন। সরকারি দল হিসেবে আমাদের কর্তব্য আপনাদের
নিরাপত্তা বিধান করা। সেই নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যেই আমরা রাজপথে
আছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজ করবেন। আমরাও
রাজশাহীবাসীর পাশে আছি। জনগণের জানমাল নিয়ে কেউ
ছিনিমিনি খেলবে, সেই অশুভ তৎপরতা হতে দেবো না, দাঁতভাঙ্গা
জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা ভূবনমোহন পার্কের পাশ থেকে বেরিয়ে এসে
জিরোপয়েন্ট হয়ে সোনাদীঘির দিকে চলে গেছেন, আমি আপনাদের
বলছি, যা করেছেন, সেই ঘোরাঘুরি, সুড়সুড়ি চুলকানি আর
দিয়েন না, আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে সেই ধাওয়া আপনারা
রক্ষা করতে পারবেন না। সেটা অতীতে বহুবার প্রমানিত হয়েছে।
এভাবেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের মোকাবেলা করা হবে।
আমরা অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের দমন করতে চাই।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-
সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক
হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.
আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক
এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া
হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক ফিরোজ কবির
সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, যুব ও ক্রীড়া
বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস
সোহেল, সদস্য আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু,
ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে
বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ,
বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন,
মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক
আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির,
সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ
সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ।