নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ ঘণ্টা পার হলেও শুক্রবার নাটোরে উদ্ধার হওয়া নিহতের পরিচয় এবং হত্যার মোটিভ জানতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় আতংক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। কারা এই অজ্ঞাত যুবককে হত্যা করল, কী তার পরিচয়, কেনই বা তাকে হত্যা করা হলো, নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। মাদক, প্রেমঘটিত, অপহরণ করে চাঁদাবাজি সবগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। যে স্থানে তাকে হত্যা করা হয়েছে এলাকাবাসী সেই স্থানকে ভাসমান পতিতা ও মাদকসেবীদের আড্ডা বলে জানে।
আবার কয়েকদিন আগে শহরের মীরপাড়া ও হাফরাস্তা মহল্লার দুটি বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন নারদ বার্তাকে জানান, নিহতের দেহে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ধরণ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় প্রচন্ড আক্রোশে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ২জনের অধিক সংখ্যক দুর্বৃত্ত সম্পৃক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের ধারণা তাকে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন একমসয় ঐ ভবনেই হত্যা করা হয়েছে। তবে আশেপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি থাকলেও কেউ কোন চিৎকারও শুনতে পায়নি। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের বুকে এবং পিঠে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পরিত্যক্ত ঐ ভবনের তিনতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত রয়েছে রক্তের দাগ। ধারণা করা যায় যে ছাদ থেকে নিচতলা পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ির পর এক পর্যায়ে সিঁড়িতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্তের জন্য সিআইডির উপরে দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে। শনিবার রাতেই রাজশাহী থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে মরদেহ ও আলামত সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে গেছে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত নারদ বার্তাকে জানান, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাতে হাফরাস্তা ওয়াপদা কলোনির পরিত্যক্ত ভবনের সিঁড়ি থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।