নিউজ ডেস্ক:
কেরানীগঞ্জে চীনা অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি। দেশে এই প্রথম কোনো বিদেশি সংস্থার আবাসন খাতে অর্থ বিনিয়োগ। কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা, তেঘরিয়া, কালিন্দী, বাস্তাসহ চারটি ইউনিয়নের ১৭টি মৌজা ৪৮৮৭ একর ২২ শতাংশ ২২ অযুত জমি নির্ধারণ করে ইতিমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক আব্দুল্লাহপুর, আতাশুর, গোদারবাব, বোয়ালী, কাজিরগাঁও, কুমলিরচক, রায়ন্ত্রী, কাকালিয়া, শুভাঢ্যা, বাঘৈর, ব্রাহ্মণ কিত্তা, বাঘাসুর, বাস্তা, কোনাখোলা, ধীতপুর, প্রোথাইল, শাক্তা ও ঠাকুরপুর মৌজা নিয়ে প্রকল্প ম্যাপ ও ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় এমপি নসরুল হামিদ বিপু জানান, কেরানীগঞ্জকে আধুনিক ও স্মার্ট সিটি রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তার আহ্বায়নে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজউকের অনুমোদন নিয়ে নকশা মোতাবেক আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। বিশাল আয়তন জুড়ে এই ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটিতে থাকবে পরিকল্পিত লেক, স্কুল ও কলেজ, খেলার মাঠ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও পার্ক।
কৃষিজমি বাঁচাতে নান্দনিক ডিজাইনের বহুতলা আবাসিক ভবন তৈরি করা হবে। যাতে একটি ভবনে অনেক পরিবার একসঙ্গে বসবাস করতে পারবে। নিম্ন আয়ের মানুষ কিস্তির মাধ্যমে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে। নসরুল হামিদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেরানীগঞ্জকে আধুনিক ও স্মার্ট সিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন, সে লক্ষ্যেই কেরানীগঞ্জে ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটির কাজ চালুর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
প্রকল্পের চারপাশে প্রশস্ত নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজউকের। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াটার ফ্রন্ট সিটি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছেন। রাজউকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাজউকের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল , ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েক জন প্রকৌশলী, স্থানীয় এমপি নজরুল হামিদ বিপু ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরেজমিনে কয়েক বার এলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে রাজউকের সদস্য ও প্রকল্প পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. আল আমীন ছিলেন। রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, বিদ্যুৎ-জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও রাজউকের প্রকল্প প্রতিনিধি দল জমি অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত এলাকার সীমানা নির্ধারণে কাজও শেষ হয়েছে।