নিউজ ডেস্ক : আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্রই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ, শপথ নিয়ে নানা নাটকীয়তা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন, অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কার, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কারণে দলটির অভ্যন্তরে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি দৃশ্যমান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেন্দ্রের দ্বিধান্বিত সিদ্ধান্তের কারণে তৃণমূল বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একটি পক্ষ বেগম জিয়া, অন্য পক্ষটি তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে আবার তৃতীয় একটি পক্ষ ক্ষমতাসীনদের সাথে আঁতাত করে দলীয় তথ্য পাচার করছে বলেও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রের বিভক্তির কারণে তৃণমূলের রাজনীতিতেও বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সমানতালে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা, বিদ্রোহীদের শাস্তি প্রদান এবং ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ার মতো রহস্যজনক রাজনীতিতে দলের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এছাড়া দলীয় কার্যক্রমে কেন্দ্র থেকে তদারকি ও নির্দেশনা না দেয়া, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান না দেয়া এবং নেতা-কর্মীদের মামলার বিচারকার্যে দলীয় আইনজীবীদের অসহযোগিতার কারণে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ হতাশার ভাসছেন বলেও জানা গেছে।
দলটির অন্য একটি সূত্র বলছে, মূলত নির্বাচনগুলোতে বিএনপির সাময়িক বিপর্যয় এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তৃণমূলের রাজনীতিতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে দলটির নেতৃবৃন্দদের। এছাড়া সঠিক নির্দেশনা না থাকার কারণে তৃণমূলে সংগঠিত হতে পারছে না দলটি। কারণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করায় উপজেলা পর্যায়গুলোতে নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। এছাড়া দলের কোন রকম সহযোগিতা না পাওয়ায় কর্মীরা হতাশ ও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। যার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক দুর্দশা বিবেচনা করে শত শত নেতা-কর্মী বিভিন্ন দলে যোগদান করছেন। যা দলটির তৃণমূল নেতৃত্বে শূন্যতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতনরা।