নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:
আহমেদপুর-গুরুদাসপুর আঞ্চরিক সড়কের দুই পাশের শতবর্ষীয় রেন্টি কড়াই গাছগুলোর বাঁকল কেটে দেওয়ার ফলে মারা যাচ্ছে। বুধবার সকালে আহম্মেদপুর-গুরুদাসপুর সড়কের বড়াইগ্রামের ইকড়ি ও গুরুদাসপুরের সোনাবাজু এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শতবর্ষীয় এই গাছ গুলো বিলিন হয়ে যাবে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন প্ররিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার ইকড়ি গ্রামের জলিল শাহের ছেলে রবিন শাহ, মৃত মকছেদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাকিম, সাবেদ আলী, লিটন আলীর এবং গুরুদাসপুরে সোনাবাজু পশ্চিমপাড়া এলাকার রেজাউল করিম উরফে বাবুল সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান ও জামাল হোসেনের বাড়ির সামনে শতবর্ষীয় গাছগুলোর বাঁকল কেটে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ১০টি গাছা মারা গেছে। আরো ১০টি গাছ মরার উপক্রম হয়েছে। এক একটি গাছের দাম এক লক্ষ দেড় লক্ষ টাকা।
নাম প্রকাশে এলাকাবাসী জানান, সড়কের পাশে যারা বসবাস করে তারা প্রথমে গাছ গুলো বাঁকল কেটে দেয়। কিছু দিন পরে মার যায়। বন বিভাগের সাতে যোগাযোগ করে গাছগুলো ভোগ দখল করে।
আব্দুল মান্নান নামের একজন বলেন, এই সব জায়গাতে অন্য জায়গার মানুষ এসে গাছগুলো কেটে দিবে না। যারা আশে পাশে বসবাস করে তারাই তো করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঔষধের দোকান মালিক বলেন, বাঁকল কেলে দেওয়া অধিকাংশই প্রভাবশালী। তাদের নিজের সুবিধার জন্য লক্ষাধীক টাকা মূল্যর শতবর্ষীয় গাছ মেরে ফেলছে।
আব্দুল রাজ্জাক বলেন, অনেকদিন আগে আমার ভগ্নিপতি রিপন হোসেন গাছের বাঁকল কেটে দিয়েছিল।
রবির শাহ বলেন, টেলিফোন লাইন যাওয়ার সময় আমার বাড়ির সামনের গাছের শিকড় কেটে যাওয়ায় মারা গেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে গাছটি মারা যাওয়ায় বাঁকল কেটে দেওয়া হয়েছে।
সাবেদ আলী বলেন, গাছের গোড়ায় খড়ের পালা দেওয়ায় বাঁকল পরে গিয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তার পরেও বিষয়টি আমরা দেখছি।
সওজ ও জনপদ বিভাগের নাটোর জেলা কার্যালয়ের কর্মকতা সজিব রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগেকে ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।