মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সবচাইতে জোর দিচ্ছে যে বিষয়গুলোর প্রতি, তার মধ্যে অন্যতম জনগণের স্বাস্থ্যসেবা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সব হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার হাসপাতালের বেড সংখ্যা ১৫০ শতাংশ বাড়ানো ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়ানো হয়েছে। ৪২টি পাবলিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১৮টি উচ্চতর বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হয়েছে। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রংপুরে উত্তরবঙ্গের প্রথম সরকারি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করেছে সরকার। ভবন নির্মাণের জন্য ২ বছরের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের আড়াই মাস আগে কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সদর হাসপাতালের প্রায় ২ একর জমির ওপর শিশু হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর শিশু হাসপাতাল নির্মাণের নির্দেশনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখিত জমিতে বিভিন্ন স্থাপনা থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক মাস পর কার্যত কাজ শুরু করে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৬ তলা ভিত্তির মূল হাসপাতাল ভবনটি প্রথম পর্যায়ে ৩ তলাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
জানা যায়, এই হাসপাতালটি নির্মাণের জন্যে ২০০৭ সালে আন্দোলন করে স্থানীয় সচেতন মহল। সে সময় আন্দোলনের চাপে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান এটি নির্মাণ করার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সুনজরে এলে সেসময় উত্তরবঙ্গবাসীর এই দাবি পূরণের আশ্বাস দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কথা রাখলেন শেখ হাসিনা, আশ্বাসের স্বল্পতম সময়েই শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কাজ। এদিকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিকে ঘিরে থানা পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের নোংরা পরিবেশ থেকে মুক্তি মিলবে হাসপাতালটির আশপাশের মানুষজনের।
রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ভবন বুঝে পাওয়ার পরেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর জন্য লিখিতভাবে অবগত করা হবে। শিশু হাসপাতালে কী কী সুবিধা থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল হাতপাতাল ভবনের ১ম তলায় থাকবে ইমার্জেন্সি, আউটডোর, চিকিৎসকদের চেম্বার এবং ল্যাব। ২য় তলায় অপারেশন থিয়েটার, ব্রোন ইউনিট এবং ৩য় তলায় ওয়ার্ড এবং কেবিন থাকবে।