নিজস্ব প্রতিবেদক: কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রিয়া খাতুনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের নবাগত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় মুল পরিকল্পনাকারী লকি উদ্দিন ও তার সহযোগী বুলবুল আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোর রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার মেরিগাছা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আজ শনিবার দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, প্রিয়া খাতুনকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বখাটে লকি উদ্দিন। কিন্তু প্রিয়া খাতুন সেই প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় লকি উদ্দিন। এরই জের ধরে গত রাতে প্রিয়া খাতুন তার কর্মস্থল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ইপিজেডে কাজ শেষে অটোভ্যানে করে বাড়ীতে ফিরার পথে বড়াইগ্রাম উপজেলার মশিন্দা বিলের মাঝখানে চৌরাস্তায় পৌঁছামাত্র লকি উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ভ্যানের গতি রোধ করে। পরে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক প্রিয়াকে ভ্যান থেকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী লকি উদ্দিন ও তার সহযোগী বুলবুল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত লকি উদ্দিন উপজেলার মেরিগাছা গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে ও বুলবুল আহম্মেদ একই এলাকার আব্দুল মমিনের ছেলে।