নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ একযুগ পরে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও এ উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। তবুও আংশিক কমিটি নিয়েই সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষ।
নেতারা বলছেন, কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে ‘অযোগ্যদের’ পদ দেয়া হয়েছে।
তবে কমিটি বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে- প্রায় একযুগ পর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের গতি বৃদ্ধি করতে এবং ছাত্রদলকে চাঙ্গা করতে রাজিবপুর উপজেলায় ছাত্রদলের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে যাদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের যোগ্য মনে করা হয়েছে তাদেরই পদ দেয়া হয়েছে। এই কমিটি কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বীকৃত, সুতরাং এ নিয়ে কোনো অভিযোগ মেনে নেয়া হবে না।
এদিকে আংশিক কমিটিতে যোগ্য বলে বিবেচিত নেতারা অসন্তোষে পড়লেও তারা কেউই এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। কেননা যদি এ নিয়ে কোনো অসন্তোষ প্রকাশ পায় তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের জন্য মুশকিল হতে পারে, তাই অসন্তোষ নিয়ে গুঞ্জন চললেও কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।
এই বিষয়ে ছাত্রদলের আংশিক কমিটিতেও স্থান না পাওয়া এক নেতা বলেন, দলকে আমরা ভালোবাসি। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির জন্য ভালোবাসা ছিলো, এখনও আছে। কিন্তু বিএনপিতে হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে কিছু হাইব্রিড নেতা ঢুকে যাওয়ায় দলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে। তারা দলের বিভিন্ন পদ দখল করে নিচ্ছে অর্থ-বিত্তের প্রভাবে। ফলে অনেক ত্যাগী নেতাই আছেন যারা পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউই কিছু বলছেন না।
যদিও নতুন কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লিমন এমন অভিযোগকে মনগড়া-বানোয়াট বলে উল্লেখ করে বলেন, কমিটি দেওয়াতে প্রাণ ফিরে পাবে উপজেলা ছাত্রদল। অযোগ্যদের নয় বরং যোগ্যদেরই পদ দেয়া হয়েছে। যারা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন তারাই আসলে প্রকৃত অযোগ্য।