নিউজ ডেস্ক:
শুধু নতুন ঘরই নয়, কুমিল্লায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য হলো পশু কোরবানি। কোথাও গরু, কোথাও খাসি। বুধবার (২১ জুলাই) সকালে কোরবানির পালা শেষে দুপুরে মাংস-পোলাও খেয়ে সত্যিকার অর্থেই ঈদের আনন্দে ভাসলো আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া মানুষগুলো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৭টি উপজেলায় ৫০৯টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ও বুধবার (২১ জুলাই) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে উপজেলাগুলোতে এই উপহার দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া সিদ্দিকা জানান, ব্রাহ্মণপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৭টি পরিবারের জন্য ২টি খাসি কোরবানি করা হয়। জেলা প্রশাসক ৩ টায় আশ্রয়ন প্রকল্পে এসে সুবিধাভোগীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন জানান, সদরের ১৯টি পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২টি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। পরে সেখানে পোলাও রান্না করা হয়। জেলা প্রশাসক নিজে এসে সুবিধাভোগীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সুবিধাভোগীদের একজন আয়েশা বেগম। ঈদে কোরবানির পর মাংস-পোলাও খেয়ে আনন্দিত আয়েশা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিছে। ঈদের সময় চাল, ডাল আর তেল দিছে। আজ খাসিও কোরবানি দিলো। আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীরে বাঁচিয়ে রাখুক।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, জেলার আদর্শ সদর, ব্রাহ্মণপাড়া আর মেঘনা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাঝে জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে ৬টি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। আমি নিজে উপস্থিত থেকে সুবিধাভোগীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলাগুলোতে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সমন্বয় করে আশ্রয়ন প্রকল্পে কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। আমি নিজে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ২০ কেজি মিষ্টিও বিতরণ করেছি।
তিনি আরও জানান, ঈদের আগেই চাল, ডাল, চিনি, লবণ, সেমাই, তেল, দুধ, মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে পরিবারগুলো।