নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে খুবজীপুর এলাকার দরিদ্র ভ্যান চালক মো. আনিছুর রহমান। ভ্যান চালিয়ে কোনো মতে সংসার চালান।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) পাশের শ্রীপুর দিয়ারপাড়া গ্রামে তার শশুর বাড়িতে ভ্যানটি চার্জে দেওয়া ছিলো। তার কিশোর ছেলে ইসমাইলকে তার নানির বাড়ি থেকে ওইদিন বেলা ১১ টার দিকে ভ্যানটি আনতে বলাই কাল হলো ইসমাইলের জীবনের। রাত ১০ টা অবধি তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী তাড়াশ থানার দিঘী সগুনা এলাকায় একটি বোরো ধানের জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ।
গুরুদাসপুর ও তাড়াশ থানা পুলিশ জানায়, চলনবিলের বোরো ধানের জমিতে পড়ে ছিল গলায় গামছা পেঁচানো ইসমাইলের (১২) মরদেহ। মূলতঃ তাঁর অটোভ্যান ছিনতাই করতেই ছিনতাইকারী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে কুন্দইল-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দিঘী সগুনা গ্রাম এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিক্সা চালক ইসমাইল হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের জেষ্ঠ্য ছেলে। ছোটো ছেলে ইব্রাহিমের বয়স ২ বছর।
জানাজায়, শনিবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার শ্রীপুর দিয়ারপাড়া এলাকা থেকে খুনি আব্দুল্লাহ ফুসলিয়ে ইসমাইলকে ভ্যানসহ তাড়াশ-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের দিঘী সগুনা নামক এলাকায় নিয়ে যায় এবং গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা এলাকায় ভ্যানটি বিক্রি করতে গেলে তার কথা বার্তায় স্থানীয়দের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তখন তাকে তাড়াশ থানা পুলিশের কাছে নিয়ে গেলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ইসমাইলকে হত্যা করে বোরো ধানের জমিতে মরদেহটি লুকিয়ে রেখেছেন বলে স্বীকার করে।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিতুলন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একই এলাকার শ্রীপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের খড়ি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৪) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ইসমাইলের বাবা আনিছুর রহমান থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।