দেশে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ। তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও মানসিক বিকাশের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তিতে বিভিন্ন সামাজিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একদিকে যেমন সচেতনতার অভাব রয়েছে, অন্যদিকে সমাজে নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা, কুসংস্কার রয়েছে। এ ছাড়া যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এসব সমস্যা নিরসনে ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে https://adoinfo.dgfp.gov.bd নামে ওয়েব পোর্টাল ও অ্যাপ চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে। তাদের ক্ষমতায়নে এবং বয়সভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সম্ভবপর সবকিছু আমাদের করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বয়ঃসন্ধিকাল হলো একটি রূপান্তরের সময়। যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে। এই সময়ে বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে তারা যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে, এ অ্যাপ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
এ প্ল্যাটফর্মে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডারভিত্তিক নির্দেশিকার পাশাপাশি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায়, সে বিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেপান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।