নিউজ ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা প্রায় ১৬ হাজার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের কোনো প্রকার শাস্তি না দিয়ে জনকল্যাণ ও দেশ গঠনমূলক কাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের প্রায় কয়েক শ সদস্য একটি রেস্টুরেন্টে সমাবেশ করে। এরপর তারা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে থাকে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। মূলত তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এই সমাবেশের আয়োজন করেছিল।
সেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। পরে পুলিশ রামপুরার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রুপ পরিচালনাকারী দুজনকে আটক করে। আটককৃতরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। পুলিশ সেই গ্রুপের খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এই গ্রুপটিতে অধিকাংশ স্বচ্ছল পরিবারের বখে যাওয়া কিশোর সদস্য। তবে গ্রুপটির বিপুল সংখ্যক সদস্য ও সম্ভাবনার কথা ভেবে সেটিকে ভালো কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করা হয়।
তারই অংশ হিসেবে গ্রুপটির সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জনকল্যাণ ও দেশ গঠনমূলক কাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, সন্তানদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা পেজটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। জাতিগঠনমূলক ইতিবাচক কাজে পেজটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করবে।
এ বিষয়ে কিশোর ও অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করা হয়েছে। এদিকে মুচলেকা নিয়ে আটক দুই কিশোরকে অভিভাবক ও এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সমন্বয় করেছেন রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। আর সহায়তা করছেন রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির।