নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী……রাজশাহীর পুঠিয়া দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার ও উজ্জ্বল মন্ডলের হামলা নিয়ে তোলপাড় রাজশাহী ওই শিরোনামে সংবাদ চলমান অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক পেজে খবর প্রকাশ হয়। যদিও বিষয়টি সমিতির কেউই জানেন না। অনলাইনে প্রকাশিত ওই শিরোনামের খবরটি সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলছেন খোদ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সদস্যরা।
পুঠিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির একজন সদস্যকে বেধড়ক মারধর ও সমিতির টাকা লুটপাট হয়েছে মর্মে ফেসবুকে একটি ভিডিও ও অনলাইন পোর্টালে খবর দেখা যাচ্ছে। পরে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গেলে উঠে আসে তার অন্য চিত্র। যাদেরকে নিয়ে ভিডিও, ও অনলাইন পোর্টালে খবর তৈরি করা হয়েছে এবং দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সদস্যরা তাদের কেউই জানেন না, তাদের কাউকে মারধর করা হয়েছে এমন ঘটনা। উল্টো সবাই বলছেন তারা একটি পরিবারের মত। এখানে বেধড়ক মারধর তো দূরের কথা কাউকে গালিগালাজ করা হয়।
রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির একজন সদস্য মোস্তাক হোসেন। মূলত তাকে বেঁধড়ক মারপিট করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল লতিফ, আশুতোষ সরকার ও আবু বকর সিদ্দিক শেখসহ ২০ থেকে ২৫ জন দলিল লেখক সমিতির সদস্য তারা বলেন, আমাদের এখানে মারধর করার মত এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও আমরা এখানে একটি পরিবারের মত কাজ-কাম করি। এদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এমন খবর বা সংবাদ আমরা এখনো ফেসবুক বা কোথাও শুনতে পাইনি, দেখতেও পায়নি। এমন খবর সত্যিই প্রকাশ হয়ে থাকলে তা সরাসরি মিথ্যে ও গুজব।
পুঠিয়া দলিল লেখক কল্যান সমিতির এক সদস্যকে মারধর করা হয়েছে বলে এমন মিথ্যা সংবাদে অভিযুক্ত হওয়া বর্তমান ভারপ্রাপ্ত- সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বলেন, এখানে কাউকে মারধর করা অনেক দূরের কথা, গালাগালিও করা হয়নি। অথচ দু-একটি অনলাইন মিডিয়া মিথ্যা, ভিত্তিহীন, গুজব নির্ভর সংবাদ প্রকাশ করেছে।
একই বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয় হাবিবুর রহমান (উজ্জ্বল মন্ডল) নামের আরেক ব্যক্তিকে- তিনি বলেন, দলিল লেখক সমিতির মধ্যে এখানে বা বাহিরে কোথাও কাউকে মারধর করা হয়নি, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে কে বা কারা ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে তা ছেড়ে দিয়েছে যার কোন সত্যতা নেই।
আপনারা একটু কষ্ট করে অনুসন্ধান করে দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন।
এসব বিষয়ে কথা হয় দলিল লেখক মোস্তাকের সাথে- তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানিনা অথচ ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারছি, আমাকে মারধর করা হয়েছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মজার বিষয় হচ্ছে আমাকে মারধর করেছে অথচ আমিই জানিনা। এগুলো ফাজলামি ছাড়া আর কিছুই না।
এ বিষয়ে দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস উদ্দিন বলেন, বিষয়টির কিছুই আমরা জানি না অথচ ফেসবুকের মাধ্যমে এবং মানুষের মুখে শুনছি যে আমার সমিতির সদস্য মোস্তাককে মারধর করা হয়েছে। মোস্তাক আমাদের দলিল লেখক সমিতির একজন সদস্য। তাকে মারধর করা হয়নি এমনকি গালিগালাজ ও করা হয়নি সব মিলে এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া সাব-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সমিতির কোন সদস্যকে মারধর করা হয়েছে এই ধরনের ঘটনা আমি শুনিনি। এমনকি কোন অভিযোগও আমি পাইনি। ধারণা করছি বিষয়টি মিথ্যা।