নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলিঃ
করোনা প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়, দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের মাঝে গোপনে খাবার পৌছে দিচ্ছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।
নিজেদের অসহায়ত্বে কথা কাউকে বলতে না পারলেও পৌর মেয়রের ফোনে এসএমএস, কল বা ম্যাসেঞ্জারে জানালে খাবার পৌছে যাচ্ছে রাতে আঁধারে। এছাড়াও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ তহবিল থেকে সাড়ে ৭ হাজার পরিবারকে সেমাই চিনি উপহার দেয়ায় এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন এ পৌর মেয়র। অনেকেই দিনের বেলা লাইনে দাড়িয়ে ত্রাণ নিতে লজ্জিতবোধ করেন তাদেরকেও গোপনে রাতের আঁধারে ত্রাণ সামগ্রি পৌছে দিচ্ছেন মেয়র। এতে বেশ খুশি উপকার ভোগীরা। প্রতি রাতেই পৌর মেয়রের নির্দেশে খাবার পৌছে দিচ্ছেন একটি দল।
পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আতিকুর রহমান জানান, আমি নির্মাণ শ্রমিক, করোনা পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ থাকায় আমার পক্ষে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। লোক লজ্জার ভয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে যেতে পারতাম না। তাই মেয়রকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে তিনি রাতে আমার বাড়িতে ত্রাণ পৌছে দেন।
একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী বলেন, আমার পরিবারের ৬ জন সদস্য, ভ্যানের চাকা ঘুরলে আমাদের সংসার চলে। করোনার কারণে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় কোনরকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। সামনে ঈদ তাই সেমাই চিনি কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। মেয়র আমার বাড়িতে ঈদের সেমাই চিনি পৌছে দিয়েছে। এতে আমি বেশ খুশি।
পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, এই করোনা পরিস্থিতিতে আমার পৌরসভার অভ্যন্তরে যে সমন্ত জনগণ রয়েছে সকলের নিকটি মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী প্রেরিত যে উপহার সেগুলো জনগণের দোরগোরায় গিয়ে পৌছানোর চেষ্টা করেছি। ফোন পাওয়া মাত্রই আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করছি। এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকলেই যেন অন্তত সেমাই খেতে পারে সে লক্ষে সাড়ে ৭ হাজার পরিবারকে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেমাই ও চিনি পৌছে দিয়েছি।