শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে একমাস ধরে মজুরী না পাওয়ায় ঘোর বিপদে অতি দরিদ্র শ্রমিকরা

কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে একমাস ধরে মজুরী না পাওয়ায় ঘোর বিপদে অতি দরিদ্র শ্রমিকরা


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় কাজ করে গত একমাস ধরে মজুরী পাননি অতি দরিদ্র শ্রমিকরা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘোর বিপদে পরেছেন তারা। তারা বলছেন,চাল কিনতে না পারায় অনেকেই দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেননা। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন কাটছে শ্রমিকদের। 

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে,অতি দরিদ্রদের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারের বাস্তবায়নাধীন কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম ধাপে কাজ করার জন্য রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪০ টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এসব কাজ শেষ করতে প্রকল্পের আওতায় ৯৭৩ জন অতি দরিদ্র শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রতিজন শ্রমিকের মজুরী নির্ধারণ করা হয় ৪০০ টাকা। সেই অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ শুরু করা হয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন শুরু থেকে এপর্যন্ত গতকাল  (২৩ মার্চ বুধবার পর্যন্ত) একমাস ধরে কাজ করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও মজুরী পাননি তারা। 

কালীগ্রাম ইউনিয়নে কর্মরত শ্রমিক ঝরণা বিবি জানান, একমাস ধরে কাজ করে কোন মজুরী পাইনি। প্রতিবেশির নিকট থেকে দুই কেজি চাল ধার নিয়ে সন্তানদের মূখে খাবার দিয়েছি। কিন্তু নিজের খাবার না থাকায় কাজ করতে এসে দলের শ্রমিকদের খাবার থেকে আমাকে খাবার দিয়েছে। 

শ্রমিক জাহের আলী জানান, সংসারের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তির উপর ঋণ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু কাজের মজুরী না পেয়ে এনজিও’র কিস্তি এবং সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। অনেকেই খাবার ভাগা-ভাগী করে খাচ্ছেন। 

কালীগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সরদার আবুল কালাম আজাদ জানান, তার দলে ৩৮জন অতি দরিদ্র শ্রমিক রয়েছেন। একমাস ধরে কাজ করে এখন পর্যন্ত একজন শ্রমিকও কোন মজুরী পায়নি। ফলে অনেকেই চাল কিনতে না পেরে দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেন না।একদিকে নিত্য পন্যের বাজার দরে হাহাকার অন্য দিকে কাজ করে মজুরী না পাওয়ায় ঘোর বিপদে পরেছেন শ্রমিকরা। 

খট্রেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার শফিকুল ইসলাম ধলু বলেন, তার দলে ২৫জন শ্রমিক রয়েছেন। মঙ্গলবার কিছু শ্রমিকরা টাকা পেলেও তিনিসহ অনেক শ্রমিকরায় টাকা পায়নি।

একডালা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার রইচ উদ্দীন বলেন, তার দলে ৩১ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারাও একটি টাকা পয়সাও পাননি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন,কিছু সমস্যার কারনে টাকা পেতে দেরি হয়েছে। ইতি মধ্যে কিছু শ্রমিকরা টাকা পেতে শুরু করেছে। ২/১দিনের মধ্যেই সব শ্রমিকরা টাকা পেয়ে যাবেন।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …