নিউজ ডেস্ক:
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন পর্যটন মালিকরা। এ খাতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১ হাজার কোটি যে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিজস্ব উৎস থেকে এ ঋণ বিতরণ করতে হবে। তবে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের আওতায় বিতরণ করা ঋণের ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার এ তহবিল বরাদ্দের নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনার চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিন্মআয়ের মানুষের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রদানের অংশ হিসেবে পর্যটন খাতের হোটেল, মোটেল ও শি পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য গত ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদের চলতি মূলধন বাবদ ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ওইদিন প্রধানমন্ত্রী আরো ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার ৪টি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সবমিলে এ পর্যন্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী, যার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা।
নীতিমালায় বলা হয়, এ প্যাকেজের আওতায় ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা প্রদান করবে। তবে এই ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালাসহ ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। একজন গ্রাহক কি পরিমাণ ঋণ পাবেন সেই সীমা ব্যাংকগুলোকে নির্ধারণ করে ঋণ বিতরণ শুরু করবে এবং এ বিষয়ে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।
এ ঋণের মেয়াদ হবে ১ বছর। তবে ঋণ গ্রাহকের ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ সুবিধাটি নবায়ন করা যাবে। তবে এ প্যাকেজের আওতায় সুদ ভর্তুকি সুবিধা ১ বছরের জন্যই পাওয়া যাবে। এ তহবিলের গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই সুদের ৪ শতাংশ গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৪ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক হতে যে ৫০ শতাংশ অর্থ পুনঅর্থায়ন করা হবে তার সুদের হারও হবে ৪ শতাংশ। আর মেয়াদও হবে পুনঅর্থায়নের তারিখ হতে ১ বছর।