নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগাতিপাড়াঃ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে সারাদেশে সকল কিছুর লকডাউন করার কারণে তীব্র সংকটের আশঙ্কা দিয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে ব্যাপকভাবে। অসহায় দিশাহারা হয়ে উঠছে বাংলার মানুষ।এই পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সেইসাথে সরকার দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার ঋণ কিস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে। এইদিকে করোনা পরিস্থিতির অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে সে বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশিষ্টজনরা। দেশের সকল মানুষের যখন অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা ঠিক তখনই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বেতন থেকে ঋণের অর্থ কর্তন বিষয়ে বিভিন্ন মতামত আসছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষকগণ চাচ্ছেন এই সংকটের সময় শিক্ষকদের একাউন্ট থেকে ব্যাংক লোনের কিস্তি না কর্তনের জন্য।বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে তুমুল আলোচনা পর্যালোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আর্থিক সংকটের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাওয়ানোর জন্য বেসরকারি শিক্ষকদের এমন দাবি। এই প্রসঙ্গে সাধারণ শিক্ষকগণ শিক্ষক নেতাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিষয়টি বিবেচনা না করা হলে শিক্ষকগণ দারুণভাবে অর্থ সংকটে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।
বাগাতিপাড়া শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাকিম ও সিনিঃ শিক্ষক আসাদ উজ জামান জানান, যেহেতু শিক্ষকদের অ্যাকাউন্ট থেকেই পরবর্তীতে ঋণের টাকা কেটে নেয়া হবে সেহেতু করোনা সংকটের সময়ে পারসোনাল ঋণের কিস্তি না কাটার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, দেশের সকল ঋণ কার্যক্রম যখন স্থগিত তখন শিক্ষকদের ব্যাংক লোনের কিস্তি কাটার বিষয়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত উর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের শাখাকে জানানো হয়নি এখনো পর্যন্ত।
তবে সোনালী ব্যাংক বাগাতিপাড়া শাখা ব্যবস্থাপক জানান, আমার এই শাখায় হতে প্রায় ৬০০ শিক্ষকের/শিক্ষিকার ঋণ আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মার্চ/২০২০ মাসের বেতন থেকে কোন কিস্তি কর্তন করা হবে না, তবে ৪দিন সময় থাকবে এর মধ্যে কেউ একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন না করলে তখন আমরা কিস্তি কর্তন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি।