নিউজ ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও নারী সহিংসতা মোকাবিলায় সামাজিক ও বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ‘থার্ড ইউরেশিয়ান উইমেন্স ফোরাম’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিন ‘উইমেন: এ গ্লোবাল মিশন ইন এ নিউ রিয়েলিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগদান করে এ মন্তব্য করেনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ থেকে প্রতিনিধি দলের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারাবিশ্ব করোনা মহামারির কারণে একটি নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রতিটি ক্ষেত্র, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে এ মহামারি। লকডাউন পরিস্থিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারী স্বাস্থ্য ও নারীর মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। করোনা-পরবর্তী নেতিবাচক প্রভাব ও নারী সহিংসতা মোকাবিলায় সামাজিক ও বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
স্পিকার বলেন, ঘরে বসে ভার্চুয়ালি কাজ করার পাশাপাশি সংসার ও সন্তানের পরিচর্যা করতে গিয়ে নারীদের দ্বিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। নারীর সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও সমতা ও সাম্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। কর্মক্ষেত্রে তাদের সমান বেতন নিশ্চিতকরণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবসম্পদ ও নারীদের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ব্যবস্থা, দরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচিসহ আরও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো ও ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আব্রামসেনকো ভিক্টোরিয়া অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস অ্যাডহানম গিব্রেসাস, মোজাম্বিক অ্যাসেম্বলির স্পিকার স্পেরানকা লরিন্দা ফ্রান্সিসকো নিউয়ান বায়াস, আজারবাইজানের স্পিকার সাহিবা গাফারোভা, রাশিয়ান ফেডারেশনের শ্রম ও সামাজিক সুরক্ষা মন্ত্রী আন্তন কোটিয়াকভ প্রমুখ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন।