নিউজ ডেস্ক:
দেশের অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে চারটি কৌশল নিয়েছে সরকার। এগুলো হচ্ছে-সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে কর্মসৃজনে প্রাধান্য দেওয়া ও বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা, ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে কম সুদে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, হতদরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে সহায়তা করতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো ও বাজারে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি করা। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় এ চারটি কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন। আগামী অর্থবছরেও সরকারের এসব কৌশল অব্যাহত থাকবে।
করোনার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে যায়। এতে কমে যায় বেসরকারি খাতে টাকার প্রবাহ। টাকার চলাচলও স্থবির হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ কোম্পানিতে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেয়। এ সংকটে অনেকে কর্মচ্যুত হন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিলাসী ব্যয় কমিয়ে অন্যান্য খাতে খরচ বাড়িয়ে কর্মসৃজনে ভূমিকা রাখে। যারা কর্মচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয় সেসব খাতে নগদ সহায়তা দেয়। এর মধ্যে রপ্তানি খাতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করলেও পরে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০ কোটি টাকা করা হয়। এ ছাড়াও প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়। এসব অর্থ ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে কম সুদে ও সহজ শর্তে উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয়। যাতে তারা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পারেন। স্বল্প আয়ের মানুষ ও হতদরিদ্রদের সহায়তা করতে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়িয়ে দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানো হয়। ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সুবিধা দেওয়া হয় প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার, যার পুরোটা এখনও ব্যাংকগুলো ব্যবহার করতে পারেনি। এ ছাড়া অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়েও সরকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে এবারের বাজেটে দেওয়া হয়েছে কর ছাড়।