বিশেষ প্রতিবেদকঃ
করোনা পজিটিভ জেনেই ঢাকা থেকে এক ব্যক্তি রাজশাহী পালিয়ে এসেছেন। প্রায় ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর ধরমপুর গ্রামে।
রাজশাহী আসার পর তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। করোনা রোগিদের চিকিৎসায় নির্ধারিত রাজশাহীর খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিকালে তাকে এ হাসপাতালে রাখা হয়। এর আগে সকালে অসুস্থ অবস্থায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন।
গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, উপসর্গ থাকায় গত ২৭ এপ্রিল ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করতে দেন ওই ব্যক্তি। ২৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহী পালিয়ে আসেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ওই যুবক আসার পর এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন তিন দিন আগে তিনি গ্রামে এসেছেন। আর কেউ কেউ বলছেন শুক্রবার আসার পর গ্রামে না ঢুকে সরাসরি হাসপাতালে গেছেন। কিন্তু সত্যটা কী তা বলতে পারছি না। সকালে ওই ব্যক্তির বাড়ি পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা গিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তালেব বলেন, আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়িতে আমাদের দুই কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা করোনার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কবে গ্রামে এসেছেন সে বিষয়ে গ্রামবাসীও কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানিয়েছেন তার করোনা পজিটিভ। তাই তাকে রামেক হাসপাতাল থেকে মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রামেকের ল্যাবে আবারও তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শুক্রবার পর্যন্ত এ জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩ জন। আক্রান্তদের বাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। এতো দিন রাজশাহী মহানগরী এবং জেলার চারঘাট ও গোদাগাড়ী উপজেলায় করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকা থেকে আসা এই ব্যক্তির বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায় হওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।