নিজস্ব প্রতিবেদক:করোনা ভাইরাস ছড়াতে আক্রান্তের পাঁচ মাস অতিক্রম করল নাটোর।জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৫১৪ জনের।পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৮৬৮ জনের। শনাক্তের হার ১১.৫৫% ।৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।মৃত্যু হার শনাক্তের তুলনায় ০.৯২%। মৃতের মধ্যে পুরুষ ৭জন নারী ১ জন। ১৭০ টি নমুনা ইনভ্যালিড হয়েছে।এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৬৫ জন।প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গনিরোধে আছেন ৬ জন।হোম আইসোলেশন এ আছেন ২০৪ জন।আক্রান্তের দিক দিয়ে নাটোর সদর উপজেলায় সর্বাধিক ৩৭৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এর পরেই রয়েছে বড়াইগ্রাম ১৩৫ জন। পাঁচ মাস পরে উদাসীনভাব দেখা গেছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে।এখন মানুষ যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে মাস্ক ছাড়াই এবং কোন রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার ছাড়াই।ব্যাপক হারে বাজারে ভিড় জমাচ্ছে নারী-পুরুষ সবাই।সামাজিক এবং শারীরিক দূরত্বের সরকারি বিধি নিষেধ মানছেন না অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।কিছুদিন আগেও বাধ্যতামূলক ছিল ’নো মাস্ক নো সেল’ লেখা ফেস্টুন বা প্লাকার্ড ঝুলিয়ে দেয়া।বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এটি আর দেখা যাচ্ছে না।সাধারন জনগনের ধারণা তাদের করোনা আক্রমণ করবে না। অনেকে আছেন যারা বলছেন আল্লাহ বা ভগবান না চাইলে তাদের করোনা ভাইরাস আক্রমণ করবে না।ব্যাপারটা এমন যেন সরকার মানুষ ঘরে রাখার জন্যে একটা ফন্দি ফিকির করছে।
সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্টু জানান,বেশিদিন ধরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় হয়তো মানুষের মাঝে এই উদাসীনতা এসেছে।এতে ভয়ংকর বিপর্যয়ে পড়তে হতে পারে জনগণকে।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান,পথে ঘাটে মানুষ মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেনা।প্রতিদিন আমি নিজে জনগণের কাছে গিয়ে মাস্ক বিতরণ করছি। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখ তারা মাস্কটি হাতে নিয়েই পকেটে পুরে রাখছে।জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পেইন করলেও তা তেমন একটা কাজে আসছেনা। এব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান এব্যারে নারদ বার্তাকে জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক শুধুমাত্র সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারই পারে এই মহামারি রুখতে। তাই মাস্ক ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই।