নিউজ ডেস্কঃ
নরসিংদীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সামিউন বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তবে পরিবারের দাবি, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এর দুদিন আগে ওই নারীর স্বামী হাজি শরীফ হোসেন মুক্তা (৫৭) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সামিউন বেগম মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক ও নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সে প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশিরের বড় বোন। আর সামিউন বেগমের স্বামী নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুরের বাসিন্দা। তাদের চার ছেলে সন্তান রয়েছে।
মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোনের সোমবার করোনা পরীক্ষা করানো হলে তার ফলাফল নেগেটিভ আসে। ডাক্তার জানিয়েছে, তিনি রাতে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
বোন ও দুলাভাই হারানো যে কত কষ্টের সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না জানিয়ে মোশাররফ হোসেন মানিক বলেন, মৃত্যুর আগে আমার বোন আমাদের সবার খোঁজ নিয়েছিল। তার সঙ্গে আমরা কেউ কথা বলতে পারিনি। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
এদিকে সামিউন বেগমের আরেক ভাই নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির বলেন, আমার বোন জ্বর ও ঠাণ্ডার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর তার জ্বর ও ঠাণ্ডার সমস্যা ভালো হয়ে যায় এবং করোনা পরীক্ষা করানো হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু আমার বোন গরম পানি দিয়ে নাকের মাধ্যমে বেশি বেশি ভাব নিয়েছে। আর ভাপ নিতে গিয়ে শ্বাসনালীতে সমস্যা হয়। এজন্য তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে রাতে স্ট্রোক করে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ সেল কুইক রেসপন্স টিমের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, সামিউন বেগম কিছুদিন তার স্বামীর সংস্পর্শে ছিলেন। শরীরের জ্বর ও ঠাণ্ডার মতো কিছু উপসর্গ ছিল। তাই সোমবার তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। সে স্ট্রোক করে মারা গেছেন ডাক্তার বলছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে, নরসিংদী জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩২২ জন শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৬৬ জন। আর মারা গেছেন চারজন।