নিউজ ডেস্ক:
টিকা বা প্রতিষেধক বাজারে না আসলে আগামী আট মাসে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হারে দেখা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। তবে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হলেও ওইসময় দৈনিক আক্রান্তের হার কেমন হবে এবং মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠিকতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তারা।
দেশে বুধবার নতুন করে আরও ৪৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৯৭ জনে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়; আগামী বছরে করোনার সবচেয়ে বাজে শিকারে পরিণত হবে ভারত। এমআইটির গবেষকরা বলছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন করোনাভাইরাসে। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যাবে ভারত। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছাবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে।
গবেষকদের দাবি, কোনো কার্যকরী টিকা বাজারে না আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হবেন দৈনিক ২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। আর আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাবে ২০ থেকে ৬০ কোটির মধ্যে।