নিউজ ডেস্ক:
করোনা মহামারীকালীন বিভিন্নধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ছয় মাস সঠিকপথেই পরিচালিত হয়েছে। এই বিরূপ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
শনিবার ‘বেসরকারিখাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত’ বিষয়ক এক ওয়েবিনারে সংগঠনটি এই পর্যালোচনা তুলে ধরে। ডিসিসিআই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার নিরলস কাজ করছে। তবে অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার ও বেসরকারিখাত যৌথভাবে কাজ করা একান্ত অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণকে করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে টিকা প্রদান গ্রামীণ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কর ও শুল্কসহ অন্যান্য নীতিতে সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের ক্ষেত্রে বেসরকারিখাতের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
ওয়েবিনারের ডিসিসিআইয়ের পর্যালোচনা প্রবন্ধ আকারে উপস্থাপন করে সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোভিড মহামারীর বিভিন্নধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গত ছয় মাসে মোটামুটি সঠিক পথেই পরিচালিত হচ্ছে। ২০২৬ ও ২০৪১ সালের প্রাক্কলিত লক্ষমাত্রা অর্জনে সরকার ও বেসারকারিখাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা চলমান রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শুল্ক ও ভ্যাট ব্যবস্থায় সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণ, স্থানীয় বেকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নতি, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে এডিআর ব্যবস্থার ব্যবহার বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা সহায়তা নিশ্চিতকরণ ও সর্বোপরি কোভিড মহামারী এবং এলডিসি উত্তর সময়ে জন্য সহায়ক ও সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন খুবই জরুরি।