মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / করোনার কারনে বাশঁশিল্প ও কর্মকারদের মাথায় হাত

করোনার কারনে বাশঁশিল্প ও কর্মকারদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া:
আসন্ন কোরবানি ঈকে সামনে রেখে অন্য সময়ের তুলনায় বাঁশশিল্প, ও কর্মকার বা কামারী শিল্প.যেমন- দা, চাকু, বটি বানানোর কাজে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন। আগামী ২১ আগষ্ট মুসলিম সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা বা কোরবানি ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে দুপচাঁচিয়া কর্মকার বা কামারীরা এক মাস আগে থেকে দা, চাকু, বটি ইত্যাদি তৈরী করে খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের গঞ্জের হাট বাজারে বিক্রয় করতে গেলে মহামারী করোনা ভাইরাস রোগের কারনে কিছুটা হলেও বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন নিখিল চন্দ্র কর্মকার।

তিনি আরো বলেন চায়না ও বার্মা থেকে আমদানীকৃত রেডিমেট চাকু, দা হার্ডওয়্যার্সের দোকানে সান দিয়ে ধারালো করে অনেক দোকানদার বিক্রয় করছেন। এতে করে কামারীদের চির প্রাচীনতম সনাতনী পদ্ধতিতে তৈরী করা দা, চাকু, বটি ব্যবসায় হিমশিম খেতে হয়। এ দেশে বাঁশশিল্প,ও কর্মকার বা কামার শিল্প, বাঁশের তৈরী খলসানি, চালুন, কুলা, ডালা সহ বিভিন্ন বাশেঁর তৈরি শিল্প কারীগরদের সরকারীভাবে উৎসাহ যোগাতে প্রাচীনতম ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সরকার বিভিন্ন ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করলে ঐ সব কারিগর ডাল ভাত খেয়ে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ধরে রাখতে পারবে বলে জানায়। তা না হলে অতি শীঘ্রই উল্লেখিত শিল্পগুলি কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে।

বর্ষা নামার পর হতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাট-বাজারে মাছ ধরার ফাঁদ খলসানি’র বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বেশি বৃষ্টিপাতের কারনে এ সব খলসানি হাট-বাজারে প্রচুর আমদানি হলেও বেচাকেনা কম বলে বিক্রেতারা জানিছেন। খলসানির পাশা পাশি মাছ ধরার ফাঁদ পলি, ভাঁড়, ঠুসি এবার আমদানি হলেও দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার নানান ধরণের ছোট বড় ফাঁদে খলসানি প্রচুর আমদানি হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কম থাকায় দামও কম বলে জানায় বিক্রেতারা। সনামধন্য বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ের খলসানি পাইকার আব্দুল জলিল এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি প্রায় আঠারো বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছেন। দুপচাঁচিয়ার ধান সুলতানগঞ্জ হাট হতে খলসানি সহ অন্যান্য মাছ ধরার ফাঁদ কিনে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন। তবে গত বছরের চেয়ে এসব সামগ্রীর দাম কম।

খলসানি বিক্রেতা বিকাশ চন্দ্র জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরণের ক্রেতা হাটে আসে না। বাঁশ সুতলী সহ মাছ ধরার ফাঁদের অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। হাটে ক্রেতা কম থাকায় খলসানির দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ধরণ ভেদে গত বছরে যে খলসানি ১৫০/- টাকা এবার বাজারে সেই খলসানি দাম ক্রেতা ১১০টাকা বলে চলে যায়।একটি খলসানির বাঁশ কিনতে লাগে ১৬০টাকা হইতে ১৯০টাকা পরে,করোনার কারনে ক্রেতা কোন ভাবে বেশী মূল্য দিতে চায় না ? দুপচাঁচিয়া তালোড়া ইউনিয়নে কইল কর্মকার পাড়া, দুপচাঁচিয়া সদর বোরাই কর্মকার পাড়ার কর্মকারেরা দিন-রাত পরিশ্রম করে দা, বটি, চাকু তৈরী করার কাজে ব্যস্ততম সময় পার করছেন।কিন্তু করোনার কারনে বাজারে বাঁশশিল্প ও কর্মকার শিল্প কোনটায় বেঁচা বিক্রি একবারেই নেই।

আরও দেখুন

সভাপতি আব্দুল আলীম,সম্পাদক ফারুক হোসেন

রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,,,,,,জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  নওগাঁর রাণীনগর …