বিশেষ প্রতিবেদক:
এ সংগঠনের প্রতিটি সদস্য বাড়িতে থেকেই নিজস্ব আঙিনায়, কেউ কেউ রাস্তার ধারে রোপণ করছে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা।
গত ২৯ আগস্ট শুরু হয় সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান নাটোরের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পুসানের ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ ২০২০। করোনায় সমাজিক দূরত্ব ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন নজির বিহীন সাংগঠনিক উদ্দ্যোগ।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে একসাথে মিলিত না হয়েই বাড়ি থেকে সবাই যার যার মতো এই বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ করে এবং ছবিসহ ক্যাপসন দিয়ে পুসানের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা হয়।
এমন ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্দ্যোক্তা ও পুসানের উপ-প্রচার সম্পাদক মতিউর বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক টকশোর ২য় পর্বে আমাদের অতিথি হিসেবে এসেছিলেন লতিফুল ইসলাম স্যার। তিনি আমাদের কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তন্মধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কথাও বলেছিলেন। তাই আমি কমিটির কাছে প্রস্তাব করি এরকম উদ্যোগ নেয়ার জন্য। সর্বসম্মতিক্রমে আমার প্রস্তাব গৃহিত হয়। তারপরে ফেসবুক গ্রুপে সবাইক অংশগ্রহণ করার জন্য বলা হয়। সবার মাঝে মোটামুটি একটি আগ্রহ লক্ষ করছি।”
পুসানের অন্যান্য পদধারীদেরও রয়েছে সমান আগ্রহ। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও পুসানের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জীবন সাহা বলেন,”পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব নাটোর (পুসান) কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন সপ্তাহের সফলতা কামনা করছি। গাছ আমাদের পরিবেশের অতীব একটি জরুরী উপাদান। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। করোনায় সামাজিক দূরত্বের কথা চিন্তা করেই আমাদের এমন উদ্দ্যোগ। এতে পরিবেশের উপকারের পাশাপাশি সাংগঠনিক তৎপরতা বলবৎ প্রতীয়মান। সংগঠনের সবাই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহে অংশ নিচ্ছে।”
পুসানের সাধারণ সদস্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ আনন্দের উত্তম মাধ্যম হিসাবে হাজির হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লুবনাত ফারজানা জানান, “করোনা লম্বা ছুটিতে একঘেয়েমিতা যখন চেপে ধরেছে তখন বৃক্ষরোপণ মনে প্রশান্তি এনেছে। আমি প্রকৃতিকে তার উপকরণ উপহার দিয়ে প্রশান্ত। আমি পাঁচটি চারাগাছ লাগিয়েছি। আমার বাবা আমাকে সাহায্য করেছে।ঘরে বসে থেকে ভালবাসার কোন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাজে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত। ধন্যবাদ পুসান”
করোনায় অনলাইনে সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্দ্যোগ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুসান সভাপতি তানভির আনোয়ার জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পুসান এরকম একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আমাদের প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিল। এই কর্সূমচিকে আমাদের নিয়মিত বাৎসরিক কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।তবে করোনাকালে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও যা পারেনি পুসান তা পারছে। করোনাকালেও অনলাইনের মাধ্যমে সমান হারে সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান।”