বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলাওএকটা যুদ্ধ, যে যুদ্ধে মানুষের দায়িত্ব ঘরে থাকা।
তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ”আপনারা যে যেখানে আছেন, সেখানেই অবস্থান করুন।”
”স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সকলে যার যার ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব,” শেখ হাসিনা বলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে জানিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সহায়তার জন্য রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে সরকারি হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯জন আর মারা গেছেন পাঁচজন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে সাপ্তাহিক ছুটির সাথে মিলিয়ে টানা ১০দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সরকার। এ সময় সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
”নানা দুর্যোগে-সঙ্কটে বাঙালি জাতি সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। করোনাভাইরাসও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা, ” জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন।
”আজ সমগ্র বিশ্ব এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে। তবে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সরকার প্রস্তুত আছে। আমি নিজে সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।”
তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
”দুর্যোগের সময় মনুষত্যে পরীক্ষা হয়। এখনই সময় পরস্পরকে সহায়তা করার, মানবতা প্রদর্শনের,” তিনি বলেন।
শেখ হাসিনা অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ” এখন কৃচ্ছতা সাধনের সময়। যতটুকু না হলে নয়, তার অতিরিক্ত কোন ভোগ্যপণ্য কিনবেন না। মজুদ করবেন না। সীমিত আয়ের মানুষকে কেনার সুযোগ দিন।
তিনি কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন কোন জমি ফেলে না রেখে বেশি বেশি করে ফসল ফলানো হয়। মিল মালিক ও কৃষকদের ঘরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ আছে বলে তিনি জানান।