শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / কৃষি / করোনাকালে ঋণ শোধে অনন্য কৃষক
Paddy Cuttuing

করোনাকালে ঋণ শোধে অনন্য কৃষক

‘কৃষিঋণ আদায় বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি চাপ নেই। বরং আমরা বিতরণ বাড়াতে চাপ দিচ্ছি। কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়, আদায় বাড়ছে।’যখন বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঋণ আদায়ে গলদঘর্ম অবস্থা ব্যাংকগুলোর, তখন ঋণ পরিশোধের অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করে চলেছেন দেশের কৃষকরা।করোনায় পুরো অর্থনীতি যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছেন তারা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আদায় বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল হাকিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কৃষিঋণ আদায় বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি চাপ নেই। বরং আমরা বিতরণ বাড়াতে চাপ দিচ্ছি।‘তার মতে, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়, আদায় বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ’কৃষকদেরকে ঋণ দিতে অনেক ব্যাংক অনীহা থাকে। কিন্তু এরা ঋণ ফেরতের দিক দিয়ে এগিয়ে। কারণ তারা ক্ষমতাহীন।‘টাকা ফেরত না দিলে ঠিকেই বিপদে পড়বে। এই ভয়ে তারা টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু শিল্প খাতে বড় বড় ঋণ খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই জালজালিয়াতি করে টাকাগুলো বের করে নেয়া হয়েছে। এর অনেক শক্তিশালী। তফাতটা এখানেই।’বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষি ঋণ আদায় বন্ধ রাখার পরও, আদায়ের এ চিত্র নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে।চলতি বছরের ২৩ জুলাই বন্যা কবলিত এলাকায়, পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কৃষিঋণ আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চালু রাখতে বলা হয়, নতুন ঋণ বিতরণ কর্মসূচিও।এ সময়ে নতুন করে ছয় হাজার ৬২৯ কোটি টাকা ঋণ পান কৃষকরা, যা বছরের লক্ষ্যমাত্রার ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে টাকার অঙ্কে যা ৩১৮ কোটি টাকা বেশি।চলতি অর্থবছরে ৫৯টি ব্যাংকের ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শস্য উৎপাদনে তিন হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি সেচ যন্ত্র কিনতে ৫৬ কোটি টাকা, কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে ৪২ কোটি টাকা, পশুপাখি ও হাঁস মুরগি পালনে ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা, মাছ চাষে ৭২৪ কোটি টাকা, শস্য সংরক্ষণ ও বিপণনে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো।এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে পল্লি ঋণ বিতরণ হয়েছে এক হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।বর্তমানে ব্যাংক খাতে কৃষিঋণের স্থিতি বা পরিমাণ ৪৩ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক ছয় হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।মূলধারার কৃষিঋণের পাশাপাশি বর্তমানে কৃষিখাতে চার শতাংশ সুদে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায়ও কৃষিঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে এ খাতের ঋণ বিতরণে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …