ছাত্রদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ‘৬০ জনের তালিকায়’ না থাকা নেতাকর্মীরা। ২৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে ও স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় পদবঞ্চিত নেতারা কমিটি বাতিলের দাবিতে ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে নানা স্লোগান দেন। এর পাশাপাশি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করতে পারলে ফখরুলকে দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান।
গত ২০ ডিসেম্বর রাতে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়। বিএনপির একাধিক সুত্র জানায় শিগগিরই এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে হবে। কিন্তু আংশিক তালিকায় শুধুমাত্র ৬০ জনের নাম দেখে ঘাবড়ে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, ‘যে আটটি নিয়ম বেঁধে দিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার একটি ও রাখেনি দলটির সিনিয়র নেতাকর্মীরা’।
নেতা নেতাকর্মীরা বলেন, ‘যে নিয়ম উপর মহল থেকে করা হয়েছে সেই নিয়ম আবার উপর মহলই ভেঙ্গে দিচ্ছে, এটা কেমন বিচার ! তাহলে কি আমরা ধরে নিব দলে আসলেই সৎ, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী কর্মীদের জায়গা নেই?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একাধিক সূত্র জানান,‘’নিয়ম ছিল যেসব প্রার্থী অন্তত ১০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হবেন, তাদের পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হবে না। আর এই নিয়মটি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তা অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অথচ তারাই নিয়ম ভেঙে বিতর্কিত এই ৬০ জনের তালিকাটি লন্ডন থেকে পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত একমাস আগেই ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিত নেতাকর্মীরা কমিটি থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনায় দেখা দিয়েছিল। সেসময় দলের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, শুধুমাত্র পদের লোভেই আমরণ অনশনে নামেন তারা। তাদের এই অবৈধ দাবীও মেনে নিতে বাধ্য হয়ে মির্জা ফখরুল। যদিও সেসময় অনশনের মাঝে অনেককেই পোলাও-বিরিয়ানি খেয়ে থাকতে দেখা গেছে ! সিনিয়র নেতাদের এমন আচরণ এবং জুনিয়রদের এমন ঘন ঘন আন্দোলনকে বিএনপি নামের দলটির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদগণ।