ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপরে শুল্ক বাড়ানোর পরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এরপর রপ্তানি বন্ধ করে দিলে আরেকধাপ দাম বাড়ে। এরপর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পর পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে এক থেকে দুদিনের মধ্যে দেড়শ থেকে ১৮০ টাকায় উঠে যায়। সপ্তাহ না যেতেই দাম বেড়ে আড়াইশ টাকায় উঠে যায় পেঁয়াজের কেজি।
শুক্র-শনিবারও ঢাকার বাজারগুলোতে ২৫০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তবে রোববার সেই দাম কিছুটা কমে ২২০-২৩০ টাকার আশপাশে চলে এসেছে। এরমধ্যে সকালে সুপারশপ মীনা বাজারের মগবাজার শাখায় ২০৪ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ পাওয়া গেছে।
পেঁয়াজের এমন উর্ধমুখী দাম সামাল দিতে ইতোমধ্যেই সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্গো বিমানে করে দ্রুত পেয়াজ আনার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দেশে আসছে পেঁয়াজ। ইতোমধ্যে এলসিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের সরকারী ভাবে স্বল্পমূল্যে পেয়াজ দেওয়া শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট কে খুঁজে বের করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সিন্ডিকেট বাণিজ্যে যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের ধরতে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। সাময়িকভাবে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে স্বল্পমূল্যে ট্রাকে বিক্রি করছে টিসিবি।
ইতোমধ্যে ঢাকার পাইকারি বাজারেও আগের দিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে, যা একদিন আগেও ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে শীঘ্রই পেঁয়াজের দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।