সুকুমার ভৌমিক
জগৎজননী জাগো
শ্যামল সবুজ ক্ষেত্রে বিস্তৃত অঙ্গণ,
শরতের পুঞ্জমেঘ শুভ্রতা বিলিয়ে
চিত্রিত করেছে যেন নীলাম্বরী শাড়ী
কাশফুল শোভিত আঁচলে।মহাষষ্ঠী,
স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নাস্নাতা এই শারদ প্রকৃতি
তোমারই আবাহনে সাজিয়েছে ডালা
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মন্ডিত। ত্রেতাযুগে
এমনই শরৎকালে জেগেছিলে মা গো
দক্ষিণায়ণের কালে, অকালবোধনে।
রামের আহ্বানে তুমি জগৎজননী
রাবণ সংহারে হ’লে রামের সহায়
অশুভ শক্তি আর অসুর বিনাশে।
বহু যুগ গত হলো কিন্তু দেখি আজও
বিশ্বে চলে আসুরিক শক্তির তান্ডব।
‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী’ দ্বন্দ্বের সংঘাতে
লোকক্ষয়, রক্তক্ষয় চলে অবিরত
জনে জনে, দেশে দেশে, মানুষে মানুষে
স্বার্থ নিয়ে হানাহানি,নিয়ত সংগ্রাম।
মাঙ্গলিক শুভশক্তি কাঁদে উচ্চৈঃস্বরে
‘শান্তির ললিতবাণী কে শোনাবে তাকে ?
যুদ্ধে নয়, জয় হবে প্রীতির বন্ধনে
এ বোধ জাগ্রত করো বিশ্ব মানবের।
দুর্গতিনাশিনী মা গো ! এ মহাউৎসবে
করি এ প্রার্থনা, জাগো, কর আশীর্বাদ ।
বিশ্বের কল্যাণে আজ হোক উদ্ভাসিত
ব্যক্তিপ্রেম, দেশপ্রেম, বিশ্বমানবতা।