শাহিনা রঞ্জু
সাধুসঙ্গ
মন পাখিটা শুধু উড়াল দেয়
আজ এডাল কাল ওডাল
তিনবেলার আহারে তার পেট ভরেনা
আর ফকির বলেন
“রাত পোহালে পাখি বলে দেরে খাই দেরে খাই”
পিঞ্জর ছেড়ে পাখি চলে যায় দুরদেশে
তেপান্তর পারি দিয়ে সীমানা ছাড়ায়
আর কেতাব বলে সীমা ছাড়লে ধ্বংস হবে।
বিনাশের শংকা নিয়েও পাখি বেপরোয়া।
ঠিক তক্ষুণি সাদা বসনে একতারা দোতারা
মন্দিরা খমক হারমোনিয়াম হাতে
জড়ো হয় দশ বার পনের বা তারও বেশী
লালন সাইঁজির বানীতে বসালে সুর
আর চোখ থেকে ঝরালে প্রেমের অশ্রু
সাইঁজি যে কখন সুর হয়ে নেমে আসে!
বোঝা বড় দায়
ধীরে ধীরে রাত গভীর হয়ে যায়
আর কান্নার সাথে মিশে যায় সুর
মোটা চাল ডাল আর শব্জির ভোজন
বড় মিঠা লাগে, বড় স্বাদ লাগে
আমার লাল বেনারসি কখন যেন
শুভ্র আটপৌরে ঢাকাই শাড়ি হয়ে যায়
নাম হয়ে যায় ফকিরানী বাউলিনী।
ইন্দ্রিয় পথে কে আসা যাওয়া করে
আমি তারে চিনিনা
আমার দেহ ঘরে শত্রু আছে মিত্রও আছে
আমি কাউকে চিনিনা।
আমার কেবল ক্ষুধা লাগে
উপর পেটের ক্ষুধা তলপেটের ক্ষুধা।
এইসব ক্ষুধার আড়ালে লুকিয়ে আছে
আমার ঈশ্বর।
হে প্রভু আমি আজন্ম প্রজা
লৌহমাহফুজ আলমে বরজাখ পার করে
এ ধরায় আসা।
সে তোমার নিগুঢ় খেলা
গোলামী করা পূর্ণ হয়না
তাই ঈশ্বর গোপন রয়ে যায়।