শাহিনা রঞ্জু
আর কোনদিন আসবেনা বলে
নিরাময় হয়েছে ভেবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই
কে যেন এসে থমকে দাড়ায়
সামনে এস মুখ দেখাতে মনে হলো কুন্ঠিত
ধীরে ধীরে আনন্দ নিয়ে যেতে যেতে
গুন গুন করে গাওয়া গান শুনতে শুনতে
হঠাৎ করে সজোরে জাপটে ধরে
কে? কে? কে তুমি ভাই?
ছাড় খুব লাগছে
অনুরোধ করে বলতেই
অট্টহাসির বিকট শব্দে চমকে উঠি!
হা হা হা যতই ভাই বলে বিনম্র স্বরে বল
আমি বিপদ ওঁৎ পেতে আছি
তোমার কোন স্বস্তি নেই
তোমার কোন শান্তি নেই
এই যে নীল আসমান
কত তারা কত মেঘ
এসব তোমার জন্যই তবে-
থামিয়ে দিয়ে বলি ঠিক বুঝলাম না
এর মধ্যে আবার তবে কেন?
বলছি শোন এসব ঠিক
আনন্দ দিতে নয় বরং দুঃখ দিতে
এই যে রূপময় বৃক্ষরাজি ফুল লতাপাতা
এই যে নিরবে দাড়িয়ে থেকে
হাজারো কথা বলা পাহাড়
ঐযে ঝর্ণার অনুরণন
ছোট ছোট বাহারি প্রজাপতি
নানারূপ পাখি আর নদী
এসব সব তোমায় দুঃখিত করবে বলে
কোমর বেঁধে একাট্টা হয়েছে।
তোমায় দেখাতে দেখাতে
তোমায় দেখতে দেখতে
একদিন কোথাও সন্ধ্যা নামবে
একদিন এক বাঁশিওয়ালা
সুর থামিয়ে বলবে মাগো আসি
তুমি দাড়িয়ে দেখবে স্বর্ণশীর্ষ বিন্দুর মত
রেললাইনের পথ ধরে সে চলে গেছে
আর কোনদিন আসবেনা বলে।