ইচ্ছে ছিল
আমারও খুব ইচ্ছে ছিল;
ইচ্ছে ছিল খুবটি করে চুটিয়ে পাটিয়ে প্রেমটি করব।
আমার একটা মস্ত নেশার প্রেম থাকবে,
আমার একজন দারুণ রোমান্টিক প্রেমিক থাকবে।
আমার একটা একান্ত এক তুমি থাকবে,
যেই তুমিটা আমায় তোমার তুমি করেই মত্ত থাকবে।
রাতভর ফোনে কানে কথায় মায়ায় মায়ায় ভোরটি হবে,
ঘুম ভেঙে সকাল বেলা ফোনের ওপাশ তুমিই থাকবে।
ইচ্ছে ছিল, ইচ্ছে ছিলো প্রিয় কাঁধে মাথা রাখব,
প্রিয় তাহার হাতটি ধরে কোলাহলের রাস্তায় হাঁটব।
ফুচকা, চটপটি আর আইসক্রিমের বায়না আঁকব।
কুয়াশা মাথা শীতের সকাল এক চাদরে মুড়িয়ে থাকব,
খালি পায়ে দুর্বাঘাসে তার সাথেই পায়ে পায়ে খুব যে হাঁটব।
রাস্তার পাশের টং দোকানে পরোটা, সবজি, চা’টা খাব।
একটা ছোট্ট চায়ের কাপে ধোঁয়ার প্রেমে দু’জন ভাসব।
ইচ্ছে ছিল, ইচ্ছে ছিলো নীল শাড়িতে খোলা চুলে;
কাঁচের চুড়ি রিনিঝিনি মন ডুবিয়ে তাঁকেই রাখব।
মন খারাপে মন ভালোতে তার বুকেতেই মাথা রাখব,
চোখের পানি নাকের পানি লেপ্টে সেপ্টে তার সাথেই সংসার পাতব।
অল্প খাবো, সল্প দামের শাড়ি, চুড়ি,
বিছানা বালিশ ছোট্ট ঘরে সুখী হব।
আমাদের সেই ছোট্ট ঘরে অনেক করে খুশি হব,
দু’জন শুধু দু’জনারই প্রণয় ডোরে বাঁধা থাকব।
ইচ্ছে ছিল, ইচ্ছে ছিলো আমার ভীষণ এমন তরো ইচ্ছে ছিল।
আমার ভীষণ তুমির মায়ার স্বপ্ন ছিলো,
রাত দুপুরে তোমার নরম আদর বুকের ওমের পরশ পাওয়ার ছিল,
বড্ড বেশি তুমিটারে এক জীবনের চাওয়া ছিল।
খুব করে যে তুমি নামের বিশ্বাসী প্রেম,
আমার ভীষণ দরকার ছিল। সত্যি বলছি,
আমার একটা আদর মায়া নির্ভরতার ছায়া কায়া;
মহা প্রণয় ভীষণ আপন তুমিটারে পাওয়ার ছিল।
খুব করে খুব ভালোবাসার ইচ্ছে ছিল,
ইচ্ছে ছিলো আমার চেয়ে খুব যে বেশি ভালোবাসার মানুষটারে;
নিজের করে পাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিল।
ভালোবাসার পাগলামিতে,
এক জীবনটা প্রণয় স্বর্গে কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিল;
ইচ্ছে ছিলো আমার একটা এমনতরো ইচ্ছে ছিল।
লেখিকা: নাজনীন নাহার
০৯.০১.২০২১
সকালঃ৯:৫৮