সৈয়দ মাসুম রেজা
“কবি জাহাঙ্গীরুল ইসলাম। আজ ১ আগস্ট বাবার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে দুপুর ১টা ১০মিনিটে বাবা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। আমার সমস্ত ভালোবাসা উপলব্ধি দিয়ে বাবার জন্য স্রষ্টার নিকট তার আত্নার শান্তি কামনা করছি।” -কবি জাহাঙ্গীরুল ইসলামের মৃত্যুুদিনে কবি সন্তান সাহাদ শরীফ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে উদ্ধৃত।
কবি জাহাঙ্গীরুল ইসলাম ১৯৫২ সালে ১২ অক্টোবর ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ব্যাসদী গ্রামের সম্ভ্রান্ত ‘ মিয়া বাড়ি’র মাততুলালয়ে জন্ম গ্রহন করেন। মা সুফিয়া বেগম ননী’র দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীর ১৯৬৮ সালে ফরিদপুর হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞানে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০-এ উচ্চ মাধ্যমিকে রাজবাড়ি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিহার প্রদেশের সিংভুম চাকুলিয়া উচ্চ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশেষ গেরিলা ট্রেনিং শেষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৮-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. অনার্স ও এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫এর আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন একমাত্র রাজনৈতিক পত্রিকা ‘পদক্ষেপ’ এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭-এ পাতাবাহার ও অন্যান্য কবিতার প্রত্যাবর্তন নামে প্রথম গ্রন্থাকারে কবির আত্নপ্রকাশ। ২০০২ সালে আকস্মিক উচ্চরক্তচাপে সেরিব্রাল এ্যাটাকিং-এ প্রায় পঙ্গুত্ব বরন করে ঢাকা ছেড়ে চলে যান গোপালগঞ্জের মেরী গোপিনাথপুরের বাড়িতে এবং দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর ২০০৮ সালে ১আগস্ট ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় সাত বছর পরে প্রকাশিত হয় তার কবিতাসমগ্র গ্রন্থটি।