“ নিঃশব্দে ভালোবাসা”
তোমাকে ভালোবাসার কোন কারণ নেই,
বলতে পারো সংজ্ঞাহীন সম্পর্কের প্রতীক্ষার নির্ভরতা।
যতটুকু চেয়েছি,
আমার একটা নাম থাকুক তোমার ঘরের দেয়ালে।
আমাকে ফোন করে বলো ভালোবাসি কিনা জানি না,
তুমি থাকলে মন ভালো থাকে।
তুমি কষ্ট পেলে আমার কষ্ট লাগে,
অকারনে বুঝিয়ে দাও ভালোবাসো এটা তোমার অধিকার।
সন্তুষ্টু হতে পারো নি ?
তুমি চেয়েছিলে উষ্ণ করুক চুম্বনে চুম্বনে,
সারা রাত তাকিয়ে থাকুক তোমার পানে জীবনের অর্থ খুঁজে।
জড়িয়ে ধরুক ঘুমের ঘোড়ে গাড় নিঃস্বাসে,
স্বর্ণলতার মতো পেঁচিয়ে ধরুক তোমার নরম শরীরে।
প্রেমিক ছেলেটা জানে,
ভালোবাসার অন্তহীন প্রতিযোগিতায়,
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিয়ে ঘরে ফেরাটা কতটা কঠিন।
লোকের কথায় আসে যায় না কিছু,
বাড়ির উঠনে দু-পা ছড়িয়ে বসে তোমার চুল বেঁধে দিবো,
তুমি বুঝবেনা অপেক্ষার শূন্যতা,
তোমার খোলা চুলের মতো মসূণতা নেই অপেক্ষায়।
প্রতিটি দিনই একেঁছি ফাগুন বাতাসে স্নানের জলে,
অপেক্ষার কান্না তখনো মেঘাচ্ছন্ন।
সাদা কাশবন থেকে উড়ে এলো পাখিরা,
দিয়ে গেলো ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি।
কথা শোনো,
ভুলে যাও কষ্ট স্মৃতিহীন অন্ধকারে।
দেখো আজ আমি তোমার নন্দনী,
সত্যিই তোমার কাছে শেখা ভালোবাসা।
নিঝুম সন্ধায় হঠাৎ পাওয়া এক ঝাক জোনাকি,
কালো মেঘ সরে গিয়ে শুভ্র আকাশে চাঁদ।
শীতের সকালে পড়ে থাকা সমস্ত বকুল,
ছাপা খানায় অপেক্ষায় থাকা কবিতার অব্যাক্ত রুপ।
সবই শুধু তুমি, শুধু তুমি।
টুকরো টুকরো ভালাবাসা গুলো,
জড়ো করে দিয়ে ছিলাম পূর্ণিমা তিথিতে তোমার শাড়ীর আচলে।
পাখিরা নিশ্চুপ থাকেনি,
কিচির মিচির কোলাহলে চারিপাশ,
আলমারীর লকারে বন্ধ থাকা ভালোবাসা,
খোলা আকাশে উড়িয়ে দিলে মেঘের উন্মাদনায়।
সত্যি আমি জানতাম একদিন ভালোবাসবে,
নীরবে, নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গতায়।
লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন